ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

শ্রমিকনেতা ওসমানের বিরুদ্বে কোটি টাকা চাদাবাজির অভিযোগ তদন্তের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৫:৪২, ২৯ জুন ২০২৪

শ্রমিকনেতা ওসমানের বিরুদ্বে কোটি টাকা চাদাবাজির অভিযোগ তদন্তের দাবি

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীর বিরুদ্ধে কোটি টাকার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের দাবি জানিয়েছে- ফেডারেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন সংগঠন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। শ্রমিকদের সঙ্গে বাস মালিকদের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি নিজে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগ প্রমাণিত দাবি করে ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন শ্রমিক ফেডারেশনের একাধিক শাখার নির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদকরা। ওই চিঠিতে শ্রমিক ইউনিয়ন ওসমান আলীকে অতিদ্রুত পদ থেকে অপসারণের দাবি তুলেছেন। অন্যথায় সংগঠনের কল্যাণে কোনো অর্থ জমা না দেওয়া এবং ইউনিয়নের সব ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ছাদিকুর রহমান হিরু, সেক্রেটারি মো. শহিদুল্লাহ, ঢাকা জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আলী শোভা, সেক্রেটারি কাজী সেলিম সারোয়ার, ঢাকা জেলা সড়ক পরিবহণ যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আমিন নুরু, সেক্রেটারি শহিদুল্লাহ চৌধুরী শাহীন এবং মিরপুর সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দেরোয়ার হোসেন খান, সেক্রেটারি সোহেল মোল্লা সলু ও ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানা গেছে। 

চিঠিতে উলেখ করা হয়- শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব হল শ্রমিকদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা ও ট্রেড ইউনিয়নের বিধিমালা শ্রমিক সংগঠনকে অবহিত করা। কিন্তু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারে থেকে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে এবং সেই বিভেদকে পুঁজি করে ঢাকা মহানগরীস্থ শ্রমিক ইউনিয়নের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। 

এছাড়া ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাথে যাতে শ্রমিক সংগঠনের সুসম্পর্ক না থাকে এ বিষয়ে সবসময় নানা প্ররোচনা ও অসৎ পরামর্শ প্রদান করতো। যা সংগঠনের পরিপন্থি।  বিশেষ করে মহাখালী বাস টার্মিনালের মালিক-শ্রমিকদের সাথে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে গত ১১ মাস বিভেদের মূলে ছিল ওসমান আলী। যা তার সামনে প্রমাণিত হয়েছে। সেখানে মহাখালীর সকল মালিক-শ্রমিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিল বলে দাবি করেছেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

জরুরি ভিত্তিতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করে সংশিষ্ট শ্রমিক সংগঠনের আত্মসাৎকৃত টাকা যাতে ফেরত পেতে পারে এবং সে যেন শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টি করতে না পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা জোর দাবি জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দেন- যতক্ষণ পর্যšত ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক-কে অপসারণ করা না হবে- ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ফেডারেশনের কোন কর্মসূচিতে অংশ নিবে না এবং যেহেতু অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

 সেহেতু তাদের কর্তৃক ফেডারেশনের যে টাকা টার্মিনাল থেকে দৈনিক জমা দেয় তা দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। সাধারণ সম্পাদক অপসারণ করা হলে যথারীতি ফেডারেশনের টাকা তারা আবারও পরিশোধ করবে বলে ঘোষণা দেন। 
 

এসআর

×