ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১

এমপি আনারকে অচেতন করেন ফয়সাল, চেয়ারে বাঁধেন মোস্তাফিজ

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২৭ জুন ২০২৪

এমপি আনারকে অচেতন করেন ফয়সাল, চেয়ারে বাঁধেন মোস্তাফিজ

গ্রেফতার

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুনে ফয়সাল ও মোস্তাফিজ সরাসরি অংশ নেন। হত্যার জন্য আনারকে অচেতন করতে চেতনানাশক দিয়েছিলেন ফয়সাল। আর চেয়ারে বেঁধে রাখার কাজ করেছিলেন মোস্তাফিজসহ কয়েকজন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

আনার খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। তারা খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। শিমুল ধরা পড়লেও এতদিন পলাতক ছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত দুজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ছয় দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন আদালত।
 
ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, ফয়সাল ও মোস্তাফিজ ঘটনার ১১ দিন আগে কলকাতায় গিয়ে ওঠেন নিউমার্কেট এলাকার একটি হোটেলে। খুনের ছয় দিন পর ঢাকায় ফিরে যান আত্মগোপনে। দেশে ফিরে বারবার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকনে। সবশেষ তারা নিজেদের হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিচয় দিয়ে আশ্রয় নেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড়ে পাথাল নামের একটি কালীমন্দিরে।
 
সংসদ সদস্য আনার খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জন গ্রেফতার হয়েছেন জানিয়েছেন তিনি বলেন, গ্রেফতার দুজন রয়েছেন ভারতে। তবে এখনও আনার হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিকসহ অন্য কারণ আমলে নিয়েই তদন্ত চলছে। দ্রুতই এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উন্মোচন করা সম্ভব হবে বলেও আশা করছি।
 
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারত যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনার।
 
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনারের নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এ সংসদ সদস্যের।

২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সাঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি বহুতল আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।

২৮ মে সন্ধ্যায় সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়। তবে এগুলো আনারের মরদেহের অংশ কি না সেটা এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ। তবে এ হত্যা মামলায় গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে চারজনই দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার অপর আসামি মিন্টু আট দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

শহিদ

×