ঢাকার বাইরেও বিস্তৃত হচ্ছে মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক
ঢাকার বাইরেও বিস্তৃত হচ্ছে মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক। ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে আশপাশের জেলার যোগাযোগ সহজ করতে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা যুক্ত হচ্ছে মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে। ২০৩০ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন-২ মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ শহর মেট্রোরেলের নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে।
এ ছাড়া এমআরটি লাইন-৬ এবং এমআরটি লাইন-১ মাধ্যমে যুক্ত হবে গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা। এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের মাধ্যমে নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলা যুক্ত হবে। এমআরটি লাইন-৫ সাউর্দান ও এমআরটি লাইন-৪ সম্প্রসারিত হবে নারায়ণগঞ্জ থেকে ভুলতা ও কাঁচপুর পর্যন্ত। ২০৪১ সালের মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা জানান।
এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে ঢাকা আশপাশের জেলাগুলো যুক্ত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন-২ মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ মেট্রোরেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে। এরপর ২০৪১ সালের মধ্যে যুক্ত হবে গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী। ইতোমধ্যে এমআরটি লাইন-৬ রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে টঙ্গী পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে মেট্রোরেল লাইন-৬। এই অংশে নতুন করে যুক্ত হবে আরও ৫ স্টেশন। এই লাইনটি বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এ লাইনের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এ লাইনের দৈর্ঘ্য হবে ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এ রুটে হবে নতুন ৫ স্টেশন- দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব ও পশ্চিম, টঙ্গী বাজার এবং টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।
এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথাছিল। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ী থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।
দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রথমে পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেওয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হবে। মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়েছে। এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।’
২০৩০ সালে দৈনিক ৫২ লাখের বেশি যাত্রী চলবে ॥ ডিএমটিসিএলের সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেলের পরিকল্পনা, সার্ভে, ডিজাইন, অর্থায়ন, নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০১৩ সালের ৩ জুন শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) গঠন করা হয়।
ডিএমটিসিএলের আওতায় দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময় সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎচালিত, পরিবেশবান্ধব ও দূরনিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট গণপরিবহন হিসেবে ৬টি মেট্রোরেলের সমন্বয় একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য ২০৩০ পর্যন্ত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০৩০ সালে সব মেট্রোরেল নির্মাণ শেষ হলে প্রতিদিন ৫২ লাখ ৪০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে বলে জানান মেট্রোরেলের কর্মকর্তারা।
ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানান, মেট্রোরেলের এই কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৭টি স্টেশন বিশিষ্ট দেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রথম মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম অংশ এবং ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বর্তমানে শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে প্রতিদিন সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে চলাচল করছে মেট্রোরেল। তবে এমআরটি পাসধারী যাত্রীরা সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেট্রোরেল যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৩ লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশটি ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে চালুর কথা থাকলেও তা ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এমআরটি-৬র কমলাপুর অংশে ৩৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে।
২০২৬ সালে চলবে প্রথম পাতাল মেট্রোরেল ॥ ডিএমটিসিএলের সূত্র জানায়, দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মিত হচ্ছে এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পে। এর মধ্যে রাজধানীর উত্তরার বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার হবে মাটির নিচ দিয়ে (পাতাল)। এ ছাড়া রাজধানীর বাড্ডার নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার উড়াল পথে।
উড়াল ও পাতাল রেলপথের সমন্বয়ের এমআরটি লাইন-১ হবে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই রেলপথে মেট্রো স্টেশন থাকবে ২১টি। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রথম এই পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৬ সালের মধ্যে এই মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
দ্বিতীয় পাতাল মেট্রোরেল নির্মিত হচ্ছে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে নতুন বাজারের হয়ে গুলশানের ভাটারা পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৫’র নর্দান রুট। এর মধ্যে আমিনবাজার থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হবে পাতাল। এ ছাড়া হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ও নতুন বাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হবে উড়াল পথে।
উড়াল ও পাতাল রেলপথের সমন্বয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এমআরটি লাইন-৫’র নর্দান রুট। ২০২৮ সালের মধ্যে এই মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর এমআরটি লাইন-৫’র নর্দান রুটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর গাবতলী থেকে আফতাবনগর পশ্চিম পর্যন্ত ১৩ দশমিক ১০ কিলোমিটার হবে তৃতীয় পাতাল মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৫ সাউদার্ন রুট। এই মেট্রোরেলের মোট দৈর্ঘ্য ১৭ দশমিক ২০ কিলোমিটার। মেট্রোস্টেশন হবে ১৫টি। এর মধ্যে পাতাল ১১টি এবং উড়াল ৪টি।
এমআরটি লাইন-৫ সাউদার্ন রুটে আফতাব নগর সেন্টার থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ৪ দশমিক ১০ কিলোমিটার উড়ালপথে। ইতোমধ্যে এই রেলপথের সম্ভাব্যতা যাচাই ও ডিটেইল ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পটি ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে।
উড়াল-পাতল রেলপথের সমন্বয়ে নির্মিত হবে এমআরটি লাইন-২। এই মেট্রোরেলের রুট হবে রাজধানীর গাবতলী থেকে মোহাম্মদপুর-নিউমার্কেট-গুলিস্তান-কমলাপুর-সাইনবোর্ড হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত সম্ভাব্য মেইন লাইন এবং গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত হবে ব্রাঞ্চ লাইন। উড়াল ও পাতাল পথের সমন্বয়ে এই মেট্রোরেলে দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।
রাজধানীর কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনপুর পর্যন্ত উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার পথে নির্মিত হবে এমআরটি লাইন-৪ বা সর্বশেষ মেট্রোরেল। এই মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য গত বছর ৪ মে কোরিয়া সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে সরকার। এই রুটে সম্ভাব্যতা যাচাই ও পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছে আরইপি আহ্বান করা হয়েছে বলে ডিএমটিসিএল কর্মকর্তারা জানান।
মেট্রোরেলের সঙ্গে যুক্ত হবে ৫ জেলা ॥ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকার আশপাশের ৫ জেলা মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর মধ্যে এমআরটি লাইন-৬’র মাধ্যমে যুক্ত হবে গাজীপুর জেলা। এমআরটি লাইন-৫’র সাউদার্ন রুটকে পূর্বাচলের দাশেরকান্দি মেট্রোরেল স্টেশন থেকে বরপা হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুলতা পর্যন্ত যাবে।
তাই নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর এবং নরসিংদী জেলাকে মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২০৩০ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন-২ এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীকে মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০৪১ সালের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা মেট্রোরেলের নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। তৃতীয় পর্যায়ে মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী জেলাকে মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানান।
ডিএমটিসিএলের সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে ২০৩০ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন-৬, এমআরটি লাইন-১, এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুট, এমআরটি লাইন-৫ সাউদার্ন রুট, এমআরটি লাইন-২ এবং এমআরটি লাইন-৪ এই ছয়টি মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে এই ৬টি মেট্রোরেলের রুট আরও বৃদ্ধি করা হবে।
এর মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০৪১ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন-৬ রুটকে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়া এমআরটি লাইন-১ রুটকে কমলাপুর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মুন্সীগঞ্জ জেলার ঝিলমিল পর্যন্ত এবং বিমানবন্দর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে গাজীপুর সদর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে।
এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটকে সাভারের হেমায়েতপুর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ঢাকা জেলার নবীনগর হয়ে বাইপাইল পর্যন্ত এবং নতুন বাজার মেট্রোরেল স্টেশন থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুলতা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। এমআরটি লাইন-সাউদার্ন রুটকে পূর্বাচলের দাশেরকান্দি মেট্রোরেল স্টেশন থেকে বরপা হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুলতা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে।
তৃতীয় পর্যায়ে ২০৫১ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন-৬ রুটকে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া হয়ে বাইপাইল পর্যন্ত বৃদ্ধি পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া এমআরটি লাইন-১ রুটকে পূর্বাচল টার্মিনাল মেট্রোরেল স্টেশন থেকে নরসিংদী জেলার শেখেরচর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটকে ভুলতা থেকে নরসিংদী জেলা সদর পর্যন্ত এবং নবীনগর থেকে মানিকগঞ্জ জেলা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে।
এমআরটি লাইন-২ রুটকে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত এবং এমআরটি লাইন-৪ রুটকে কাঁচপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার বরপা পর্যন্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে রিভাইস সমন্বিত পরিবহন পরিকল্পনার (আরএসটিপি) মিড-টার্ম রিভিউতে (এমটিআর) এমআরটি লাইনসমূহের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে ডিএমটিসিএল কর্মকর্তরা জানান।