আনোয়ারুল আজীম আনার ও শিলাস্তি ওরফে সিনথিয়া।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতার নিউটাউনে হত্যা করা হয়। পরে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়েছিল। সেই দেহাংশ ট্রলি ব্যাগে পাচার করা হয়। আর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজন শিলাস্তি রহমান। তার জেরা চলছে।
এদিকে তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, শিলাস্তি রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন পিবিসিপি সংযোগ। পিবিসিপির পুরো নাম পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি। এই দলটি পশ্চিমবঙ্গে ষাটের দশকে নকশালপন্থী ‘খতম’ রাজনীতির অনুসারী হিসেবে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আত্মপ্রকাশ করেছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ তৈরির পরে একাধিক উপদলে ভেঙে গেছে পিবিসিপি। খুলনা বিভাগের কিছু এলাকায় দলটির পরিচয় চরমপন্থী গোষ্ঠী। এমনই সংগঠনের সঙ্গে গোপন সংযোগ রেখে চলে শিলাস্তি রহমান।লাস্যময়ী শিলাস্তি রহমানকে হানি ট্রাপ বলেই চিহ্নিত করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা অফিসাররা। তদন্তে জানা যায়, শিলাস্তি রহমানের অন্য নাম সিনথিয়া রহমান। ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ সাংসদ আনোয়ারুলকে কলকাতায় আসতে বলা হয়। এই পরিকল্পনাটি করে আনোয়ারুলের ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন। সেই শিলাস্তি ওরফে সিনথিয়াকে হানি ট্রাপ হিসেবে ব্যবহার করে আনারকে কলকাতায় ডেকে পাঠায়।
আরও পড়ুন : জামিনের মেয়াদ বাড়ল ড. ইউনূসের
‘চিকিৎসা করাতে যাচ্ছি’ বলে গত ১২ মে কলকাতার এসে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন। গত ১৫ তারিখ থেকে তিনি সকল প্রকার যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। নিখোঁজ তদন্তে উঠে এসেছে ভিনদেশে পরিকল্পিত খুনের বিষয়টি। আক্তারুজ্জামান শাহীন মাওবাদী সংগঠনের ঘনিষ্ঠ।
আনোয়ারুলকে কলকাতায় আনার পর তার সঙ্গে দেখা করে শিলাস্তি ওরফে সিনথিয়া। তদন্তে উঠে এসেছে এই তরুণীকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে গেছিল কলকাতায়। তদন্তে উঠে এসেছে। ১৩ মে আনোয়ারুলকে হত্যায় শিলাস্তি নিজেও অংশ নেয় এবং লাশ গুম করতে সহযোগিতা করে। ১৫ মে শিলাস্তি বিমানে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে আসে।
তদন্তে উঠে আসছে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে এমপি আনোয়ারুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল আক্তারুজ্জামান শাহীন।
এম হাসান