পল্লবীতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কানকাটা গ্রুপ
রাজধানীর পল্লবীতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কানকাটা গ্রুপ। যারা কথায় কথায় মানুষের কান কেটে দেয়। পুলিশ বলছে, জমি দখল, মাদক ব্যবসা, দোকানপাট লুটসহ নানা অপরাধ করে গ্রুপটি। কানকাটা গ্রুপটি চালায় একাধিক মামলার আসামি ডাসা শরিফ ও তুহিন মিয়া। আর তাদের নেতৃত্ব দেয় শহিদুল ও পিন্টু। এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের হাতে আসে একটি ভিডিও। ভিডিওটিতে দেখা যায়, পল্লবীতে কয়েকজন মিলে মারধর করছে এক কিশোরকে। সেই গ্রুপের হামলার শিকার রমজান আলী রিপন। গত ২ মে রাতে পল্লবীর বাউনিয়াবাদে বাসার সামনে বসেছিলেন তিনি। কোনো কারণ ছাড়াই তার কান কেটে দেয় গ্রুপটি।
কানকাটা গ্রুপের নির্যাতনের সাক্ষ্য দেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাফি। ২ মে রাতে তারও কানকেটে দেয় গ্রুপের সদস্যরা।
জানা গেছে, গত তিন মাসে অন্তত ৬টি কানকাটার ঘটনা পল্লবীতে ঘটেছে। কানকাটা গ্রুপ থেকে বের হয়ে আসা একজন জানান, জমি দখল, দোকান লুটপাট করাই এদের কাজ।
নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কানকাটা গ্রুপের ওই সাবেক সদস্য গণমাধ্যমকে জানান, ‘এই গ্রুপে অনেকেই আছে। জায়গা-জমি দখল, ইয়াবা ব্যবসা, দোকান লুটপাট, ছিনতাই করাই এই গ্রুপের কাজ। জায়গা দখলে গিয়ে গ্রুপটির সদস্যরা লোকজনকে মারে, কোপ দেয়।’
জানা গেছে, মাঠে কানকাটা গ্রুপের নেতৃত্ব দেন শরিফ ওরফে ডাসা শরিফ ও তুহিন মিয়া। তারা পল্লবীর আলোচিত শাহিন উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি। এই গ্রুপে রয়েছে আরও ১৩ সদস্য। আর মদদদাতা শহিদুল ও পিন্টু। এদের সবার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
যদিও শহিদুলের বাবার দাবি, ছেলে নির্দোষ। শহিদুলের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছে। সব মিথ্যা মামলা। রোজার মধ্যেই দুই-তিনটা মামলা দিছে আমার ছেলের নামে।’
পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কান কেটে দেয় গ্রুপটি। এরই মধ্যে ডাসা শরিফ, হানিফ ও সামির নামের তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ‘দুই পক্ষ জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে একটা পক্ষে এই গ্রুপটি ভাড়ায় যায়। তখন জমি নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হলে প্রতিপক্ষের সদস্যদের কান কেটে দিয়ে একটা ভীতির সৃষ্টি করে।’
পুলিশ বলছে, বিচ্ছিন্নভাবে অপরাধ করা আসামিরা কয়েক মাস আগে কানকাটা গ্রুপ গড়ে তুলেছে।
এবি