মিল্টন সমাদ্দার
অন্তত ৯০০ জনকে বেওয়ারিশ দাবি করে দাফন করেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের মিল্টন সমাদ্দার। এসব নিয়ে ফেসবুকে লাইভও করেন তিনি। বিভিন্ন সময় তাদের রাস্তা থেকে তুলে আনেন নিজের প্রতিষ্ঠিত পুনর্বাসন কেন্দ্র চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে। দাফনের আগে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে রাখার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
কিন্তু সরকারি সংস্থার অনুমোদন ছাড়া পরিচয়হীন বা বেওয়ারিশ হিসেবে কাউকে দাফন করতে পারে না কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এজন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয় বলছে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম।
জনকল্যাণ সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মুখপাত্র মোহাম্মদ আজিম বখশ জানান, ‘বেওয়ারিশটা ডিক্লেয়ার করবে তো সরকার। অন্তত স্থানীয় কাউন্সিলর অবগত থাকলে, তখন বেওয়ারিশ হিসবে দাফন করা যেতে পারে। কাউকে দাফন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেই দাফন করা যায় না। অনুমতি না নিলে মামলাও হয়ে যেতে পারে।’
পরিচয় ছাড়া মরদেহ দাফনে ছবি বা ভিডিও রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পুলিশ বলছে, সেই সঙ্গে মরদেহের সাথে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ, ডিএনএ নমুনা-ফিঙ্গার প্রিন্ট ইত্যাদি সংরক্ষণসহ আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে।
ডিমপির অপারেশনস্ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে আমরা পরিচয়টা শনাক্ত করার চেষ্টা করি। যতভাবে সম্ভব আমরা পরিচয় বের করার চেষ্টা করি।’
মিল্টনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিওতে ভুল ও অতিরঞ্জিত তথ্য দিতে বাধ্য করতেন সহকর্মীদের। এ ছাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে রোগীদের বিষয়ে তথ্যেও ছিল গরমিল।
এ নিয়ে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের সাবেক কর্মী সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘রিপোর্টে আমি বলেছি যে, এখানে দুই শতাধিক মানুষ আছে। উনার তথ্যে একটু গ্যাপ তো ছিলই।’
পুনর্বাসন কেন্দ্রের নামে ডলার এনে মিল্টন নিজের ফেসবুক পেজের রিচ বাড়াতে ব্যয় করতেন। পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়োগ দিয়ে নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কাজে বাধ্য করতেন অনেক কর্মীকে।
মিল্টন সমাদ্দারের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
তবে এতো সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে জনকণ্ঠ অনলাইন থেকে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি
এবি