রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে একটি চৌকস দল ‘রাষ্ট্রীয় সম্মান’ প্রদান করবেন।
এরপর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সেখানে ফাতেহা ও দোয়া পাঠ করবেন। রাষ্ট্রপতি সমাধি সৌধ প্রাঙ্গণে রক্ষিত দর্শনার্থী বইতেও স্বাক্ষর করবেন। পরে বিকেলে বঙ্গভবনের দরবার হলে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেবেন শিশু সমাবেশে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও শেষ করেছে শিশুরা।
এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে পরিচ্ছন্নতা ও শোভাবর্ধনসহ সব কাজ শেষ করা হয়েছে। সড়কে লাগানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তৈরি হয়েছে তোরণ। এছাড়া জেলায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল বলেন, ‘১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর বাবা জাতির পিতার সমাধিতে টুঙ্গিপাড়ায় আসছেন। এ উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ার সমস্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট যেখানে যেটা আছে সেগুলো ধুয়েমুছে পরিস্কার ও আলপনা ও ব্যানার ফেস্টুনে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। যারা আসবেন এবং অনুষ্ঠান যেন মধুময় হয় সেভাবে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা কাজ করছে।’
এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে নির্বিঘ্ন করতে টুঙ্গিপাড়ায় নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আর টুঙ্গিপাড়াসহ জেলায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে তিন দিনের বই মেলারও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমা ও বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন শেখ লুৎফুর রহমান ও সায়রা খাতুন পিতা-মাতার চার কন্যা ও দুই পুত্রের মধ্যে তৃতীয়।
এস