প্রেস বিফ্রিংয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ছবি: জনকণ্ঠ
জবি ছাত্রীর আত্নহত্যার ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত করে দ্রত বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে অভিযুক্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বহিষ্কার, শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষক-কে সাময়িক বরখাস্ত এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ (৫) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত দেড় টার দিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে এইসব কথা বলেন তিনি।
একই সাথে এঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন শিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক জাকির হোসেন ও সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ।
এর আগে উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। সেই সাথে ক্যাম্পাসে ইতোপূর্বে ঘটে যাওয়া সকল নারী নির্যাতনের ও যৌন হয়রানির ঘটনার তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দেন উপাচার্য।
একই সঙ্গে মৃত শিক্ষার্থীর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ বিচারের জন্য লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেয়া আইন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের (১৪তম ব্যাচের) অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকি আম্মান (আইডি নং-বি ১৮০৫০১০১৬) -কে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলাম-কে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এসআর