কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজা সিলগালা।
রাজধানীর জিগাতলায় ১৫ তলার কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজায় ১১টি রেস্তোরাঁ খুলে ব্যবসা করা হচ্ছিল। সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছেন।
জানা যায়, ভবনের দুটো সিঁড়ির একটি বন্ধ এবং সেখানে রাখা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। আর ভবনের ছাদে তালা লাগানোয় আগুন লাগলেও ছাদে যাওয়া সম্ভব নয়।ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি ১৫ তলা ভবন। ১২ তলা পর্যন্ত প্রায় সব তলাতেই রেস্তোরাঁ আছে। এ ছাড়া, দুটো ভবনে ভিসা প্রসেসিং অফিস আছে। ভবনের দুটো সিঁড়ি; তার একটি বন্ধ, ব্যবহার উপযোগী না। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার রাখা। ছাদও বন্ধ, দুর্ঘটনা ঘটলে কেউ সেখানে যেতে পারবে না।’
ভবনটি সিলগালা করা ছাড়াও সেখানে থাকা ভিসা প্রসেসিং অফিস থেকে তিনজন কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘তারা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তাই তাদের আটক ও জরিমানা করা হয়েছে। ভবনের রেস্তোরাঁগুলোয় কোনো মালিক বা কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।’
অভিযানের সময় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক তানহার ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। তাই ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। ওই ভবনের প্রতিটি তলায় রেস্তোরাঁ ছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় এখনো চিকিৎসাধীন আছেন পাঁচজন।
এ ঘটনার পর ঢাকার বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবনে ইচ্ছেমতো রেস্তোরাঁ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ জানান বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন মহল থেকে এসব ভবনে অভিযান চালিয়ে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়। এই পরিস্থিতি গতকাল রবিবার রাজধানী গুলশান, মিরপুর ও উত্তরার প্রায় অর্ধশত রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করে পুলিশ। তারপর আজ ধানমন্ডি, ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় রেস্তোরাঁ ভবনে একযোগে অভিযান চালাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ।
এম হাসান