ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

তরুণ প্রজন্মের এ কি হাল! জানে না মাতৃভাষা দিবসের কথা, বলতে পারছে না বাংলা

আশিক উল বারাত

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪; আপডেট: ১৩:৪২, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

তরুণ প্রজন্মের এ কি হাল! জানে না মাতৃভাষা দিবসের কথা, বলতে পারছে না বাংলা

জানে না মাতৃভাষা দিবসের কথা, বলতে পারছে না বাংলা

পৃথিবীর প্রথম ভাষা বাংলা যে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিলো, সেই আন্দোলনে নিহত হয়েছিলেন শহীদ আবুল বরকত, রফিক উদ্দিন আহমেদ, আবদুস সালাম, আবদুল জব্বার।

এর পর ৩৭ বছর কেটে যায়। তারপর ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (UNESCO)'র সাধারণ সম্মেলনে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। যা পরবর্তীতে স্বাগত জানিয়েছিল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।

তারপর থেকে প্রতিবছর সারাবিশ্বে নানা কর্মকাণ্ড ও অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘও এই দিবসটি উদযাপনকে সমর্থন করে এবং এর সদস্য দেশগুলোকে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং বহুভাষিকতার প্রচারে উৎসাহিত করে।

তবে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ঘটা করে মাতৃভাষা দিবস পালিত হলেও আমাদের তরুণ প্রজন্ম মাতৃভাষার এই টানকে কতটা ধরে রাখতে পারছেন সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরুণ প্রজন্মের কর্মকাণ্ড থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে বাংলা ভাষা থেকে সরে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের কাণ্ডারিরা। এমনকি ঠিকঠাক বাংলা ভাষাকে বলতে পারছে না এ প্রজন্মের অনেকেই। সময়ের পরিক্রমায় বিদেশি শব্দ স্থান করে নিচ্ছে বাংলা ভাষার ভেতরে। তবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয়টি হচ্ছে এ প্রজন্মের অনেক তরুণই ভাষাকেন্দ্রিক ইতিহাস-ঐতিহ্য থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে। 

সম্প্রতি জনকণ্ঠের ফেসবুক পেইজের একটি ভিডিও সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। যেখানে জনকণ্ঠের রিপোর্টার এর প্রশ্নের উত্তরে বইমেলায় তরুণ প্রজন্মের অনেককেই বাংলা ভাষা, ভাষার ইতিহাস, একুশে ফেব্রুয়ারি কিংবা দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে ঠিকঠাক বলতে পারছেন না। 

এছাড়াও অনেকেই দেখা যাচ্ছে ঠিকমতো ১ মিনিটও বাংলায় কথা বলতে পারছে না। খুবই সাধারণ শব্দগুলোও ইংরেজিতে বলছে। দেখা যাচ্ছে বাট, ওকে, হোয়াটএভারসহ বাংলার মাঝে ইংরেজির মিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা ভাষার শ্রুতি মাধুর্যতা নষ্ট করছে। 

নিয়মিতভাবেই বাংলা থেকে সরে যাওয়া এবং বাংলার মাঝে বিদেশি ভাষার ব্যবহার ছাড়া কথা বলতে না পারাটা দুঃখজনক মনে করছেন সুশীল সমাজ। তাঁদের মতে এভাবে চলতে থাকলে একদিন বাংলাভাষা তাঁর স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলবে। 

এবি 

×