ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মেট্রোরেলে নারী কণ্ঠের সেই অরিন ভাসছেন প্রশংসায়

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত: ২০:৩২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪; আপডেট: ২০:৪৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মেট্রোরেলে নারী কণ্ঠের সেই অরিন ভাসছেন প্রশংসায়

কিমিয়া অরিন।

দুর্ভোগ লাঘবে স্বপ্নের মেট্রোরেলের ছোঁয়া ও সুফল এখন বাস্তবে পাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। এই মেট্রোরেলের জনপ্রিয়তা গোটা দেশে সারা ফেলেছে। তবে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা নিয়ে ভেসে আসে একটি নারী কণ্ঠ। যা নিয়ে কৌতুহলের কমতি নাই জনসাধারণের মাঝে। অনেকেই আবার ভেবেছেন হয়তো এটি মেশিন জেনারেটেড ভয়েস। 

এবার জনকণ্ঠ ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ এক সাক্ষাৎকারে সেই ভয়েস নিয়ে কৌতুহলের সমাধান করলেন কিমিয়া অরিন। এসময় মেট্রোরেলে তার ভয়েসের চুলচেরা বিশ্লেষণ ও কণ্ঠের যাত্রাপথের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তিনি। জনকণ্ঠকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পুরো দেশে প্রশংসায় ভাসছেন অরিন।কিমিয়া বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছি। এছাড়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনে ও বাংলাদেশ বেতারে ইংরেজি সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কাজ করেছি। ৯ বছর ধরে কাজ করার পর আমি কানাডায় এসেছি মাস্টার্স করার জন্য। পরিবারে রয়েছে আমার স্বামী এবং ছোট ভাই। আমার স্বামীর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি রয়েছে এবং ছোট ভাই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।’

ভয়েস নিয়ে মানুষের কৌতুহল নিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমার বন্ধুরা আমাকে ‘স্ক্রিন শট’ পাঠাত যে এটা কি আসলেই মানুষের ভয়েস না কি মেশিন জেনারেটেড ভয়েস। শুরুর দিকে সবাইকে বললে কেউ বিশ্বাস করতো না যে এটা আমার ভয়েস। এমন কি আমার কাছের মানুষও আমার ভয়েস চিনতো না। মেট্রোরেলে ভিডিও যে মানুষ আপলোড করতো, আমি সেই লিংক দিয়ে বলতাম এটা আমি, এই ভয়েস আমি দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘অনেকে মজা করে সামাজিক মাধ্যমে লিখত তে এই আপা কি বাস্তবে আছে, না কি এটা কম্পিউটারে করা। শুরুতে যখন আমি মেট্রোরেলে নিজের ভয়েস শুনি, খুবই এক্সাইটেড হয়ে গিয়েছিলাম। সবাই আমার দিকনির্দেশনা শোনার জন্য অপেক্ষা করছে, এটি দারুণ ব্যাপার মনে হয়েছে। আমি দেশের বাইরে থাকলেও যখন মনে পড়ে দেশের লোকজন আমার ভয়েসের জন্য অপেক্ষা করছে, তখন খুবই ভালো লাগে। আমি এতো দূরে থেকে দেশের জন্য সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি, এটা মনে পড়লেই ভালো লাগা কাজ করে।’

ভয়েস দেওয়ার শুরুর গল্প হিসেবে কিমিয়া বলেন, ‘প্রথমদিকে বিটিভির একজন রিপোর্টার আমাকে বললেন, আপনি মেট্রোরেলে ভয়েস দিতে চাইলে সিভি দিতে পারেন। আমি তার কথায় সিভি দেই। কাজের স্যাম্পল হিসেবে আমার ইউটিউব থেকে ভিডিওগুলোও দেওয়া হয়। শুরুতে হয়েছিল টিকিট ভেন্ডিং মেশিনের কাজ। তখন ছিল করোনাকালীন সময়ের মাঝের দিক। অনেকবার ভয়েস দেওয়ার পর নানাভাবে বিশ্লেষণ করে সর্বশেষ আমার ভয়েসটিই নির্বাচিত হয়।’

কিমিয়া অরিন বলেন, ‘প্রথমবার প্লাটফর্মের জন্য ভয়েস নেওয়ার পর ট্রেনের জন্য ভয়েসের কাজ করি। প্লাটফর্মের ভয়েসের জন্য অনেকজ কষ্ট করা হলেও ট্রেনের জন্য সে রকম হয়নি। আর শেষের দিকে আমি এলিভ্যাটেড ও লিফটের জন্য কাজ করেছি।’

 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে যাত্রী চলাচলের জন্য গত ৪ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। 

সম্পর্কিত বিষয়:

×