বিদেশি কর্মরত জনশক্তি। ফাইল ফটো
বৈধভাবে বিদেশে যেতে দেশের সব কর্মীকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোয় (বিএমইটি) নিবন্ধন করে স্মার্ট কার্ড নিতে হয়। এই স্মার্ট কার্ড নিয়ে প্রায়ই জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি দুই দফায় ২৪টি ও ২০টি প্রবাসী স্মার্ট কার্ড বের করে নিয়েছে একটি চক্র। এতে আবার আলোচনায় এসেছে বিষয়টি।
অনলাইন ও অফলাইন- দুভাবেই স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরাসরি এটি দেয় বিএমইটি ও জেলা জনশক্তি কার্যালয়। তবে সব তথ্য বিএমইটি কার্যালয়ের সার্ভারে রাখা হয় বলে জানা গেছে। এর বাইরে অনলাইনে এ সেবা দেয় ‘আমি প্রবাসী’ মোবাইল অ্যাপ। বেসরকারি সংস্থার এ অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে এবার জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বিভিন্ন সময় বিএমইটির সার্ভার জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারির মধ্যে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে ২০টি স্মার্ট কার্ডের আবেদন বাতিল করা হয়। পরে এগুলো ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত ১০ জানুয়ারি ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএমইটি। ৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাতিল আবেদনের কাগজপত্র যাচাই করে পরিচালক (কর্মসংস্থান) ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কর্মসংস্থান) চাইলে তা অনুমোদন করতে পারেন। ওই ২০টি কার্ড বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালকের মাধ্যমে অনুমোদন করা হয়েছে।
এর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে দুটি পৃথক আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা থেকে ১৯টি ও অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (এডিজি) কম্পিউটার থেকে একটি আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। এ কম্পিউটারে তাঁর আইডি ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করা থাকত। এ ক্ষেত্রে যে কারও পাসওয়ার্ড জানার সুযোগ থেকে যায়।
বিএমইটির দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, ওই সময় বিএমইটির নিয়মিত এডিজি (কর্মসংস্থান) ছুটিতে ছিলেন। তাঁর দায়িত্বে ছিলেন এডিজি (প্রশিক্ষণ) আশরাফুল ইসলাম। তিনি তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, তাঁর জানা মতে, কোনো কর্মীর বাতিল আবেদন যাচাই করে তিনি চূড়ান্ত করেননি।
‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের সিস্টেম হ্যাক হওয়ার নজির আছে বলে দাবি করেন আশরাফুল ইসলাম।
এসআর