মেট্রোরেলের শাহবাগ স্টেশন
সকাল সাড়ে ৭টা বাজতেই সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায় শাহবাগ স্টেশন। এরপর নতুন যাত্রীদের নিরাপত্তাকর্মীরা শিখিয়ে দেন কীভাবে উঠবেন মেট্রোরেলে।
এভাবেই রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) শাহবাগের সঙ্গে কারওয়ান বাজার মেট্রোরেল স্টেশনও চালু হয়ে যায়। এর মাধ্যমে খুলে যায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনের সবকটিরই দুয়ার। এতে স্বপ্নের যাত্রার পূর্ণতা পায় রাজধানীবাসীর। এ যেন পূর্ণ হয় মেট্রোরেলের ষোলকলা। এতে এ পথের যাত্রীরাও খুশি।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কর্মরত জাকির হোসেন শাহবাগ স্টেশনে নামেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, খুবই কমফোর্টেবল (আরামদায়ক)। আমার জন্য ভালো হয়েছে। মেট্রোরেলের এ উদ্যোগের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
‘অন্যরকম ইলেকট্রনিকসে’র টেকনিশিয়ান শরীফ শেখ ধানমন্ডি-১৫ থেকে এসেছেন মতিঝিলে তার অফিসে যাওয়ার জন্য। তিনি বলেন, মেট্রোরেলে আমাদের যাতায়াত সহজ হবে। আমরা কম সময়ে যেতে পারবো। তবে ভাড়াটা বাসের চেয়ে একটু বেশি।
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের আইটি বিভাগে কর্মরত সাদমান সাকিব বলেন, আমার বাসা শাহবাগে। আমি অফিসে যাওয়ার জন্য আগে টিএসসির স্টেশন ব্যবহার করতাম। এখন এখান থেকে ব্যবহার করতে পারছি। এতে আমার জন্য সুবিধা হয়েছে। সময়ের সাশ্রয় হয়েছে। আর যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা-উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ধাপে ধাপে বাকি স্টেশনগুলো খুলে দেওয়া হয়।
মেট্রোরেলের পথটির নাম এমআরটি লাইন-৬, যা ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ পথে স্টেশন মোট ১৭টি। এরমধ্যে ১৬টি স্টেশন সম্পূর্ণভাবে চালু হয়েছে। এখন শুধু বাকি থাকলো কমলাপুর স্টেশন, যা ২০২৫ সালে চালু হবে।
মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো হলো- উত্তরা-উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর।
তাসমিম