ইসি আলমগীর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, ভোটারদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করতে বাধা নেই, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে শুধু বলা যেতে পারে।
বুধবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রতিটি জায়গায় নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। কোথাও কোনো রকম সমস্যা নেই। স্থানীয় আইন শৃঙ্খলাবাহিনী, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সব জায়গায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখেছেন তারা। যাতে সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হয় সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। তাদের পদক্ষেপের পাশাপাশি ইসির পক্ষ থেকে যেসব পরামর্শ দেওয়া দরকার তাও দিয়েছি।’
প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর উৎসবের আমেজে প্রচারণা ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উদ্দীপনা দেখেছেন বলে জানান তিনি। ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১৪টি জেলা সফরে যাওয়া-আসার পথে ও নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি তুলে ধরে কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘ভোটারদের মধ্যে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছি। যারা প্রার্থী রয়েছেন প্রতীক পেয়ে বেশ মিছিল, সভা করছেন। বেশ আনন্দেই আছেন, কোথাও কোনো সমস্যা নেই। পুলিশ ও প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য মতে কোথাও এমন কোনো থ্রেট নেই যে নির্বাচনে সমস্যা হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা জিনিস বুঝতে হবে-এটা গণতান্ত্রিক দেশ। স্বাধীনভাবে ভোটে অংশ নেওয়ার যেমন অধিকার রয়েছে, অংশ না নেওয়ারও অধিকার রয়েছে। কোনো দল যদি অংশ না নেয়, সেটা তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছে, কৌশল। এতে সমস্যা নেই। একই সাথে তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধও করতে পারেন, তাতেও সমস্যা নেই’ কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণভাবে বলতে হবে। কোনো নাশকতা, উসকানি, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না, এটা নির্বাচনী আইনবিধি অনুযায়ী অপরাধ। এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ যাতে না করতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে বলা হয়েছে। আমরা কঠোরভাবে দেখব।’ বিএনপি ও সমমনাদের ভোট প্রত্যাখ্যান ও নাশকতার প্রচেষ্টা ভোটারদের মাঝে ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করেন তিনি।
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সহিংসতা একেবারেই দু-একটা ক্ষেত্রে বলা যায়। শান্তিশৃঙ্খলার সাথে এটার মাত্রা তুলনা করলে একেবারেই নগণ্য। যেটা করছে, খুবই বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ঘটাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন, তারা অত্যন্ত তৎপর। কোনো নাশকতা ঘটার চেষ্টা করছে কি না, সংগঠিত করার চেষ্টা করছে কি না তারা অত্যন্ত সজাগ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দু-একটি বিচ্ছিন্ন যে ঘটনা ঘটেছে, তা ৩০০ আসনের নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া (প্রভাব) পড়ছে; যেখানে আনন্দ উৎসবের অবস্থা হয়েছে সেখানে এগুলো কোনো প্রভাব ফেলবে বলে আমরা মনে করি না। নির্বাচন যথেষ্ট শান্তিপূর্ণভাবে হবে।’
নির্ধারিত সময়ের পর (মনোনয়ন জমার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর) বিএনপি ও অন্য দলগুলো ভোটে না আসায় আর নতুন করে তাদের জন্য কোনো সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময়ের মধ্যে এলে আমরা তখন বলেছিলাম কিছু করতে পারব, রিশিডিউল করতে পারব। সে সময় পার হয়ে গেছে। এ মুহূর্তে আর কিছু করার সুযোগ নেই।’
প্রতীক বরাদ্দের পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং অন্য চার নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন।
এস