বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামছে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা।
আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁরা দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মোতায়েন থাকবেন বলে সশস্ত্রবাহিনী নিশ্চিত করেছে।
রবিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাত করে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের অনুমতি চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
পরে বঙ্গভবনের সামনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, নীতিগতভাবে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তবে কত দিন সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
তার আগে গত ১১ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েন নিয়ে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে সেনা মোতায়েন হতে পারে।
বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীদের বিরোধিতার মধ্যে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
বিএনপি নির্বাচনের তফসিল বর্জন করেছে। বিএনপিসহ ১৫টি দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ–জাতীয় পার্টিসহ ২৯টি রাজনীতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
সবশেষ গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিনের আগে-পরে মিলিয়ে ১০ দিন বেসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য ‘এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’বিধানের অধীনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
এস