বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিল। এক না, দুই বার বিদায় নিতে হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আমি বলেছিলাম গ্যাস পাবে না। আল্লাহ-তায়ালাও যখন সম্পদ দেয়, মানুষ বুঝে দেয়। সেই গ্যাস দিতে পারেনি। কূপ খনন করে দেখে গ্যাস নাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের দল করা, রাজনীতি করা ও ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। যারা রেললাইন উপড়ে ফেলে, আগুন সন্ত্রাস করে তারা পরাজিত শক্তির দালাল, তাদের না বলুন। বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। বাংলাদেশকে আর পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়েই আমরা সরকারে এসেছি। যার ফলে আজকে বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে। মাত্র তো ১৫ বছর একটানা সময় পেলাম। ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩, বাংলাদেশ আজকে একটি বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে পাকিস্তানির মনে করেছিল বোঝা, এটা চলে গেলেই ভালো। আজকে তারাই বলে, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। আমরা বাংলাদেশের মতো উন্নত হতে চাই।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা মাত্র ৫ বছর সময় পেয়েছিলাম। ওই একই শক্তির চক্রান্তে ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। যাই হোক অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের পর আমরা ২০০৯ সালে সরকারে আসতে পেরেছি।
সরকার প্রধান বলেন, আজকে একটানা ১৫ বছর দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে আমরা দেখি অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপর অত্যাচার-নির্যাতন। কতো মানুষকে যে তারা হত্যা করেছে। সেই জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন, সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনীর শতশত অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধাকে তিনি হত্যা করেছেন। আর আমাদের নেতাকর্মীদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এস