হজ
এবারও হজযাত্রী নিবন্ধনে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। নিবন্ধন শুরুর ২৮ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর এখনো সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় দশ হাজার যাত্রীর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি। এবারও বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা পূরণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। নিবন্ধনের সময় আছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আগামী বছর (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। নিবন্ধন শেষ হলে হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ।
২০২৪ সালের হজের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ভাড়া দেড় লাখ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। এই দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে বলেন, বর্তমানে এয়ারলাইন্সগুলো প্রায় ৭৫ হাজার টাকায় ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রিটার্ন টিকিট বিক্রি করছে এবং প্রায় ২০ শতাংশ আসন খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। হজের সময় প্রায় শতভাগ যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট গমন করে। তা ছাড়া খালি ফিরতি ফ্লাইটের পরিচালনা ব্যয়ও কম। সাধারণ ফ্লাইটের বিপণন ও সিস্টেম পরিচালনায় অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়, যা হজের ফ্লাইটে করতে হয় না। সে হিসাবে ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটের সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিমান ভাড়া হতে পারত। বিমান ভাড়া কম হলে হজযাত্রীদের আগ্রহ বেশি থাকত।
হাবের এই দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের পরামর্শ হজযাত্রীরা যেন দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। জানুয়ারি মাসে আমাদের যাত্রীদের পরিসংখ্যান জানাতে হবে সৌদি আরবকে।
হাব জানিয়েছে, হজযাত্রীকে কোরবানি বাবদ আনুমানিক ৮০০ সৌদি রিয়াল নিতে হবে এবং কোরবানি নিজ দায়িত্বে সম্পন্ন করতে হবে। সৌদি আরবে ৩০ থেকে ৪৮ দিন অবস্থান করতে পারবেন। মদিনায় অবস্থান করতে পারবেন পাঁচ থেকে আট দিন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
এসআর