ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাজোটের শরিকরা আওয়ামী লীগের কাছে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আগ্রহ দেখালে সে বিষয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। আর জাতীয় পার্টির নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে প্রকৃতপক্ষে বিরোধীদল হয়ে ওঠার এখনই মোক্ষম সময়।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো প্রার্থীকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হলে নির্বাচন কমিশন সেটা আমলে নিয়ে যে ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ তাতে সাধুবাদ জানাবে। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হবে- আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে কোনো প্রার্থীর বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে ক্ষমতাসীনরা তাকে স্বাগত জানাবে। দলীয় বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের কোনো পক্ষপাত নেই। নির্বাচন কমিশন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে যে ব্যবস্থা নেবে তাতে আওয়ামী লীগের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।’
বিএনপির অনেক নেতা নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী দিনে আরো অনেক নেতাই বিএনপি ছেড়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ভিড়বেন। বিএনপির আন্দোলনে অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে এখন তারা সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরছেন। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী নন।’
সৎ সাহস থাকলে তারেক রহমানকে রাজপথে এসে রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ কিন্তু কখনোই শত্রু নয়। কখনো আওয়ামী লীগ বেগম জিয়া বা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে যায়নি। আন্দোলনের নামে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি এরই মধ্যে সরকারি ১৭টি এবং ২৭৫টি ব্যক্তিমালিকানাধীন বাসে আগুন দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ওসি এবং ইউএনওদের বদলির পর তারা (ইসি) জেলা প্রশাসকদেরও রদবদল করেছে। এতে কোথাও সরকারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়নি।’
এম হাসান