ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

বিদ্যুত সংযোগ

সংযোগ পেতে ঘুষ দিতে হয় ৭.৬৪ শতাংশ গ্রাহককে

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

সংযোগ পেতে ঘুষ দিতে হয় ৭.৬৪ শতাংশ গ্রাহককে

বিদ্যুতের সংযোগ

  • ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে স্মার্ট মিটার স্থাপনের কাজ
  • থাকবে না গ্রাহক অসন্তোষ্টি

বিদ্যুতের নতুন সংযোগে ঘুষ দিতে হয় বলে জানিয়েছেন ৭.৬৪ শতাংশ গ্রাহক। আর ৬৫ শতাংশ গ্রাহক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়েছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। ৬টি বিতরণ কোম্পানির ১৫ হাজার ২৪৫ গ্রাহকের জরিপ পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে আবাসিক ৯০.৯৩ শতাংশ, শিল্প দশমিক ৮৯ শতাংশ, বাণিজ্যিক ৮ শতাংশ এবং সেচ দশমিক ১৮ শতাংশ। জরিপে অংশ নেয়া গ্রাহকদের মধ্যে ৫২.০১ শতাংশ প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী। তবে ২০২৫ সালের মধ্যে সব গ্রাহককে স্মার্ট মিটারের আওতায় নিয়ে আসলে গ্রাহক অসন্তোষ্টি আর থাকবে না বলে দাবি করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। 

বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে গ্রাহক সন্তুষ্টি জরিপের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ পরিষেবা গ্রাহকদের কাছে আরও সহজলভ্য করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তির ব্যবহার  যত বাড়বে সেবার মান ও সেবা প্রদান তত উন্নত হবে। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল নিতে হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ অপরিহার্য। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার করতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান। 

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যখন ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা বলা হয়েছিল। তখন অনেকেই ব্যঙ্গ করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় তা দারুণভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।

সিনিয়র সচিব বলেন, যে সময়ে (মার্চ-মে) জরিপ করেছেন তখন লোডশেডিং কম ছিল। জুলাই আগস্টে বেশি লোডশেডিং হয়েছে। মূলত জ্বালানি সংকটের কারণে লোডশেডিং হয়েছে তখন। আমার বাসায় ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ না থাকলে অস্থির হয়ে যাই, বিদ্যুৎ থাকবে না কেনো। গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাইবে এটা তাদের ন্যায্য চাওয়া। আমরা ভবিষ্যতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবো।

তিনি বলেন, বিল বেশি মিটার রিডারদের ভুলের কারণে আমরা স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের দিকে যাচ্ছি। ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে। তখন আর এই অভিযোগ থাকবে না। প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত আচরণগত সন্তুষ্টি। আচরণগত সমস্যা দূর করতে, যত আধুনিকায়ন হবে তত মিডলম্যান থাকবে না। তখন সেবার মান বেড়ে যাবে।

এসময় জানানো হয়, ১৫,২৪৫ জন গ্রাহকের মধ্যে এই সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে। যার মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ১৩৮৬২ (৯০.৯৩%), শিল্প গ্রাহক ১৩৫ (০.৮৯%), বাণিজ্যিক গ্রাহক ১২২০ (৮%) এবং সেচ গ্রাহক ২৮ জন (০.১৮%)। প্রাপ্ত বৈদ্যুতিক পরিষেবার ৯৩.৮১% গ্রাহক সন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রাপ্ত পরিষেবার মান সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ৮৭.১৩% এবং কাঙ্খিত সময়ের মধ্যে পরিষেবা প্রাপ্তি নিয়ে ৯২.৯৭% সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কল সেন্টার/হটলাইনের মাধ্যমে অভিযোগের সাড়া প্রদান সম্পর্কে ৮৯.০১% গ্রাহক ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন। 

সমীক্ষায় গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে আধুনিক ও ওয়ান স্টপ ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার করা, লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি, অনলাইন বিলিং সিস্টেম, প্রিপেইড মিটারের সংখ্যা বাড়ানো, দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন লোকবল বাড়ানো, তদারকি সভা নিয়মিত করা, মেরামত কার্যক্রম সম্পর্কে গ্রাহকদের পূর্বেই অবহিত করা ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলীসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

 

স্বপ্না/এস

×