হজ
সরকার ঘোষিত হজের সাধারণ প্যাকেজের বিমান ভাড়া কমিয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পুনর্নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
রবিবার (৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে ৪৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকা বিমান ভাড়ায় ওমরাহ করা যাচ্ছে। অপরদিকে হজের সময়ে প্রায় ২ লাখ টাকা বিমান ভাড়া নির্ধারণ করে সাধারণ প্যাকেজ মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা করা হয়েছে কার স্বার্থে?
শহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ বিমান ও হাবের কোন কোন নেতার পকেট ভারী করতে অস্বাভাবিক বিমান ভাড়া নির্ধারণ করে আল্লাহর মেহমান হজযাত্রীদের ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাবের কোনো কোনো নেতা নিজেদের এজেন্সি অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে নিজেরা লাভবান হতে হজযাত্রীদের নিয়ে ব্যবসা করে আঙুল ফুলে বটগাছ হওয়ার কাজে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এ সিদ্ধান্তে প্রত্যেক হাজিকে অতিরিক্ত এক লাখের বেশি টাকা যেমন গুণতে হবে, তেমনি সৌদি এয়ারলাইন্স অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যাবে, যা দেশে ডলার সংকট আরো বৃদ্ধি করবে।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, একটি স্বাধীন দেশে সরকারের ঘোষণার মাধ্যমে আল্লাহর মেহমানরা পবিত্র হজ পালনে এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এটা মেনে নেওয়া হবে না। সরকার যদি এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয় তবে হজ যাত্রীরা এ জুলুমের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, আমেরিকা থেকে ১৩ হাজার কিলোমিটার ভাড়া দিয়ে একজন হজযাত্রী হজ করতে ১ লাখ ৭০ হাজারের কম-বেশি বিমান ভাড়া দিলেও বাংলাদেশিরা ৪৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা বিমান ভাড়া দেবে তা দেশের হজ যাত্রীরা মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, হজ যাত্রী পরিবহনে বিমান উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে যদি ৮০ থেকে একলাখ টাকায় হজযাত্রী পরিবহন করা যায়, তবে তাই করতে হবে।
এস