স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ সদস্য কনস্টেবল মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহত হয়েছেন। তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক ছাত্রদল নেতা। তার ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে এ কথা কলেন তিনি। এসময় নিহতের মরদেহের পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন মন্ত্রী এবং তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
জানা গেছে, ১৩০ জন এ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সবাই দেখেছেন- একজন পুলিশ সদস্যকে কীভাবে হত্যা করেছে। পুলিশ সদস্য পড়ে যাওয়ার পরেও একজন ছাত্রদল নেতা তাকে কুপিয়ে তার মাথা ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। তার ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। সেই পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। এ দৃশ্য সবার হৃদয়ে দাগ কেটেছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আগে থেকেই ঘোষণা দিয়েছিল আজ তারা ১০ লাখ লোক সমাবেশে আনবে। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবন পর্যন্ত সমাবেশ ছড়িয়ে গেছে। ঘটনার সূত্রপাত সেখানে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল, সেই মিছিলে বিএনপি হামলা করে। শুধু হামলা করেই বিএনপি ক্ষান্ত হয়নি তারা দুটি পিকআপে আগুন দেয়। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে পড়ে। এসময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে? পুলিশ আইনানুযায়ী তার কাজ করেছে।’
তিনি বলন, ‘ক্ষণে ক্ষণে বিএনপি ঢিল মারছিল এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সমাবেশে তারা লাঠি এনেছিল। ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমার তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় তারা। পুলিশ অনেক ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। একপর্যন্ত রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের ছোট বড় স্থাপনায় আগুন দেয়। এছাড়া কয়েকটি সরকারি স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়। জাজেজ কমপ্লেক্সও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়েছে। ২০১৪ সালে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি করেছিল সেই পরিস্থিতি আবারও করার পায়তারা করেছে বিএনপি। আগামীকাল বিএনপি হরতাল ডেকেছে। যেই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করবে গাড়ি ভাঙচুর করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো আমরা।’
এম হাসান