কাঁচামরিচ
আমদানির খবরে ফরিদপুরে ৮০০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ দাম কমে ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এই দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার (২ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত জেলার বাজারগুলোতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গতকাল শনিবার খুচরা বাজারে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
মধুখালী উপজেলা সদরের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে আজ ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক কাঁচামরিচ এসেছে। এ খবরে হঠাৎ করে দর পড়ে গেছে। আমদানির খবরে একদিনের ব্যবধানে ৮০০ টাকার মরিচ ৩০০ টাকায় নেমে এসেছে। আগামীকাল ও পরশুর মধ্যে দাম আরও কমে আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানী ঢাকায় কাঁচামরিচের দাম কেজিতে কমেছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। কারওয়ান বাজারে আজ রোববার প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।
এদিকে, একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে কাঁচা মরিচের কেজিতে ১২০ টাকা কমেছে। একদিন আগেও ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখানে আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।
হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতারা জানান, আমদানি ও সরবরাহও বন্ধ এবং বৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমবে।
কাঁচামরিচের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গত ২৫ জুন আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তবে ঈদের ছুটির ফাঁদে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে বিলম্ব হলেও আজ থেকে ভারত থেকে দেশে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়।
প্রতি টন কাঁচামরিচের এলসি মূল্য ৪৫০ মার্কিন ডলার। সেই হিসেবে প্রতি কেজি মরিচের দাম পড়ে প্রায় ৫০ টাকা। দেশে এই মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বেচা সম্ভব হবে।
এম হাসান