কোরবানির পশু
সারাদিন থেকেই রাজধানী ঢাকাতে জুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের আর একদিন বাকি থাকলেও এই বৃষ্টির কারণে পশুর হাটে ক্রেতার উপস্থিতি কম। এ নিয়ে নানা শঙ্কায় পশু বিক্রেতারা। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম বলছেন না কেউই। তাই বৃষ্টি কমার আশায় রয়েছেন গাবতলীর পশু বিক্রেতারা। তারা বলেন, বৃষ্টি হলে দাম পড়ে যায়, আবার রোদ উঠলে দাম বাড়ে।
এদিকে গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ হাটে গরু দাম কিছুটা কম বলে মনে করেন কোরবানির পশু কিনতে আসা কিছু ক্রেতা। আবার অনেক ক্রেতাই বলছেন, এখনও চড়া দাম হাঁকা ছাড়ছেন না পশু বিক্রেতারা। তাই আজ দাম-দর দেখে যাচ্ছেন। পছন্দ হলে নেবেন। না হয় আগামীকাল (বুধবার) আসবেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই। দুপুরের পর থেকে সেই সংখ্যা কিছুটা বাড়তে থাকে। আগত বেশিরভাগ ক্রেতাদের নজর মাঝারি আকারের গরুর প্রতি। তবে লাখের নিচে ভালো গরু কেনা সম্ভব না বলে জানান ক্রেতারা।
এদিকে গরু লালন-পালনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাইলেও কমে বিক্রি করতে পারছেন না বলে জানান বিক্রেতারা।
খামারিরা বলেন, ‘আমার গরুরে ১৮০০, ১৯০০ টাকা বস্তা মাঝে দাম বাড়ায় ২২০০ টাকা বস্তায় ভুসি খাওয়াইছি। মোট ৫ লাখ টাকা খাওনেরই খরচ গেছে। আমি লিখে রাখছি। তার ওপর আরও অন্যান্য খরচ আছে। ঢাকায় আনতে খরচ গেছে। এখন দামই কয় ৫ লাখ টাকা। তারা (ক্রেতারা) তো মনে করে গরুর এত দাম হয় কেমনে। দাম তো গরুর না, গরু পালতে খরচ। ওইটার দাম দিবো না।’
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার হাটে গরুর দাম বেশি হবে এমনটাই ধারণা করে রেখেছিলেন ক্রেতারা। তাই বাজেটও ১ লাখের আশপাশ কিংবা বেশি রাখছেন তারা।
এমএস