ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

আপাতত চলবে ১ম ইউনিট

অবশেষে পুনরায় উৎপাদন শুরু হলো পায়রায়

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ২৫ জুন ২০২৩

অবশেষে পুনরায় উৎপাদন শুরু হলো পায়রায়

প্রতীকী ছবি।

পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাবাহী জাহাজ এসে পৌঁছায় গত বৃহস্পতিবার রাতে। ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ‘এমভি এ্যাথেনা’ নামের জাহাজ থেকে কয়লা খালাসের পর অবশেষে পুনরায় উৎপাদনে ফিরেছে দেশের সবচেয়ে বড় তাপভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। রবিবার বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটে শুরু হয় এর উৎপাদন। প্রাথমিকভাবে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার একটি ইউনিট চালুর পর তা জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়। এর আগে সকালে কেন্দ্রের একটি ইউনিটের বয়লার স্টার্ট আপ করা হয়। 

গত ১৭ জুন ইন্দোনেশিয়ার বালিকপানান শহর থেকে ছেড়ে আসা ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিকটন কয়লাবাহী জাহাজ এমভি এ্যাথেনা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে ভিড়ে। শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় খালাস প্রকিয়া। 

ডলার সংকটে যথাসময়ে কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় গত ২৫ মে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ৫ জুন বন্ধ হয় দ্বিতীয় ইউনিট। ফলে লোডশেডিং বৃদ্ধি পায়। তখন সরকার জানিয়েছিল, দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ফের চালু হবে। পূর্ণ ক্ষমতায় এটি চালাতে ১১ থেকে ১২ হাজার টন কয়লা লাগে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, যা দেশের গড় উৎপাদনের প্রায় ১০ শতাংশ। প্রায় ৩৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া থাকায় চীনের সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। পরে সরকারের ওপর মহলের হস্তক্ষেপে ধাপে ধাপে ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়। তা দিয়ে আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত ১৭টি জাহাজের এলসি খোলা হয়। এতে প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার টন কয়লা আনা যাবে। নতুন করে আরও কয়লা আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রায় ৩৬ হাজার টনের প্রথম চালান বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সমুদ্র অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।

সূত্র জানায়, মজুত পুরোপুরি শূন্য হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর পাশাপাশি কয়লা মজুত করা হবে। প্রথম চালানের কয়লা দিয়ে আপাতত একটি ইউনিটে দৈনিক ৫২৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ২ জুলাই কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে জাতীয় গ্রিডে মোট ৭৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।

 

স্বপ্না

সম্পর্কিত বিষয়:

×