ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

খিলগাঁওয়ে দুই তরুণীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ১১ জুন ২০২৩

খিলগাঁওয়ে দুই তরুণীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার

খিলগাঁও থানা।

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পৃথক ঘটনায় দুই তরুণীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১১ জুন) বিকেলে ওই দুই তরুণীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। 

উদ্ধার হওয়া লাশগুলো হলো- আয়শা সিদ্দিকা কথা (২৩), লিমা (২১) ও তারিকুল ইসলাম (২৭)। পরিবারের আবেদনে তারিকুলের মরদেহটি বিনাময়নাতদন্তে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোনিয়া পারভিন জানান, খবর পেয়ে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে খিলগাঁও পূর্ব গোড়ান ৯ নম্বর রোডের একটি টিনসেড বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আয়শার লাশ। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায়। স্বামী গাড়ি চালক ফরহাদ হোসেনের সাথে গোড়ানের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। স্বামীর দাবি, প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ফরহাদের কাছে এক হাজার টাকা পাবেন। সেই টাকার জন্য দুপুরে প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়া হয় আয়শার। ফরহাদ টাকা পরিশোধ করে দিলে তার সাথে প্রতিবেশীর ঝগড়া হতো না বলে বাসায় আবার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে। পরবর্তিতে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেন আয়শা। খবর পেয়ে ওই বাসার দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা জানান, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে লিমা নামে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
 
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি এক বছর আগে সৌদি আরব গিয়েছিল। সেখান থেকে ৪-৫ মাস আগে বাংলাদেশে আসেন। থাকতেন খিলগাঁও নন্দীপাড়ায়। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। এই কারণে তার পরিবার গত ২৭ মে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে দুই দিন ভর্তি থাকার পর কাউকে কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তিনি।

ওসি আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় নন্দীপাড়া এলাকায় খুব অসুস্থ অনুভব করলে পথচারীরা তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রবিবার সকালে মারা যান তিনি। তার বাবার নাম নুর ইসলাম। লিমা মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তার পরিবারের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে, বনশ্রীর ৭/এ নম্বর রোডের এইচ ব্লকের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তারিকুল ইসলামের (২৭) মরদেহ।

ওসি জানান, খবর পেয়ে দুপুরে ওই বাসার দরজা ভেঙে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তার বাবার নাম আহসান উল্লাহ। 

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি কয়েক বছর আগে এমবিএ শেষ করে চাকরি খুঁজছিলেন। এ ছাড়া, নানান কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। এই সব কারণে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে তাদের দাবি। তবে পরিবারের আবেদনে তারিকুলের মরদেহটি বিনাময়নাতদন্তে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এম হাসান

সম্পর্কিত বিষয়:

×