ছবি: সংগৃহীত।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করা চাকরি প্রত্যাশীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধাওয়ায় শাহবাগ ছেড়ে চলে যায় তারা।
শনিবার (১০ জুন) রাত ৮টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এতে কাউকে লাঠিচার্জ না করেই হুইসেল বাজিয়ে ধাওয়া করলেই সরে যায় আন্দোলনকারীরা। দীর্ঘ আট ঘণ্টা ধরে বন্ধ থাকা শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ জানায়, তারা শাহবাগ অবরোধ করলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিমন্ত্রী তাদের সঙ্গে এক ঘণ্টা কথা বলেন এবং তাদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন। প্রতিমন্ত্রীর কথায় আশ্বস্ত হয়ে তারা প্রথমে চলে যেতে চাইলেও পরে আবারও শাহবাগ অবরোধ করেন। আমরা তাদের হুইসেল বাজিয়ে ও সতর্ক করে ওইখান থেকে সরিয়ে দেই। তাদের ওপর কোনো ধরনের লাঠিচার্জ করা হয়নি।
এর আগে, দুপুর ১২টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের’ ব্যানারে সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। বাধা পেয়ে সেখানেই বসে পড়েন তারা। পরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য খোলা চিঠি লিখে বেলুনে বেঁধে তা উড়িয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ত্রিশোর্ধ্বরা শিক্ষাসনদ ছিঁড়ে ফেলেন।
তাদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা, অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে ‘বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল) স্থাপন করা।
এমএম