ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

রাজধানীর ডিআইটি পুকুর উদ্ধারে চলছে অভিযান

প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ৮ জুন ২০২৩

রাজধানীর ডিআইটি পুকুর উদ্ধারে চলছে অভিযান

ডিআইটি পুকুর

রাজধানীর পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় শত বছরের পুরোনো ডিআইটি পুকুর উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক। 

বৃহস্পতিবার (৮জুন) বেলা দেড়টায় এই অভিযান শুরু হয়েছে। পুকুরটি রক্ষার জন্য স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেছেন। পুকুর রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও পুকুর ভরাটকারী ব্যক্তিদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল পুকুর দখলমুক্ত করার ঘোষণা দেন। এরপর আজ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযানকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযান শুরুর আগে পুকুর দখল করে গড়ে ওঠা দোকানপাটের মালামাল সরাতে মাইকিং করা হয়েছিল।

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় ডিআইটি প্লট পুকুর রক্ষায় দাবিতে চারিপাশ ঘেরাও করে মানববন্ধন আয়োজন করে  এলাকাবাসীর একাংশ। একই সময় কাউন্সিলর সমর্থক এলাকাবাসীরাও কর্মসূচী দেন। তবে পুলিশের বাধায় ইভয়পক্ষের কর্মসূচী পন্ড হয়।   দোকানিরা শুরুতে না সরালেও পরে মালামাল সরাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।

গত মঙ্গলবার পুকুর রক্ষায় নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বেলা।  ওই বিজ্ঞপ্তিতে বেলা বলেছে, পুকুরটির পানি স্থানীয় বাসিন্দারা নানা কাজে ব্যবহার করতেন। দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া সংবাদে জানা যায়, পুকুরের চারপাশে ছড়িয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। মাটি ফেলে ভরাট করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, পুকুরটি ভরাটসহ নানা স্থাপনা নির্মাণে যুক্ত আছেন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহানা আক্তার এবং মালিকানা দাবিকারী নৌশাদ আহমেদ গং ও তাঁদের আমমোক্তার জাকির হোসেন।
 
রাজধানী সুপার মার্কেটসংলগ্ন এলাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন। আইনি নোটিশে বেলা বলছে, ডিআইটি পুকুরটি  ভরাট হলে এর আশপাশের এলাকার পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হবে। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে। অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায়ও এমন জলাধার গুরুত্বপূর্ণ।

গত মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ডিআইটি পুকুরের জমি সম্পত্তি বিভাগকে জরিপ করতে বলা হয়েছে। পর্চা অনুযায়ী, মানচিত্র অনুযায়ী পুকুরের যে সীমানা, তা নির্ধারণ করে দখলমুক্ত করা হবে বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী কোনো পুকুর-জলাশয়, নদী-খাল ভরাট করা বেআইনি।

 

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×