জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তার জন্য ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার (৩ জুন) ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ২০২৩ সালের জন্য ‘ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)’-তে বাংলাদেশ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন স্বরূপ ২০১৮ সাল থেকে ইউএনআরডব্লিউএ-তে অনুদান প্রদান করে আসছে বাংলাদেশ।
সম্মেলনটি আহ্বান করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেশী। এতে সদস্য দেশগুলোকে ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তাদের জন্য নিবেদিত সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র কার্যাবলীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ব্রিফ করেন ইউএনআরডব্লিউএ এর কমিশনার জেনারেল।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মো. মনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের ঘোষণা করেন। তার বক্তব্যে ইউএনআরডব্লিউএ এর চলমান তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি ‘টেকসই, অনুমানযোগ্য এবং পর্যাপ্ত’ তহবিল সুরক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে শুধু আর্থিক সমর্থন প্রদান করা সমাধান নয়। এই সংকটের একমাত্র সমাধান হল ১৯৬৭-এর পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান অর্জনের মাধ্যমে ইসরাইলি অবৈধ দখল দারিত্বের অবসান ঘটানো।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনের মাধ্যমে ১৯৪৯ সালে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের দুর্দশার ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য সহায়তা এবং সুরক্ষা প্রদানের জন্য একটি মানবিক এবং উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউএনআরডব্লিউএ । বর্তমানে এই সংস্থায় শরণার্থী হিসাবে ৫৯ লাখ ফিলিস্তিনি নিবন্ধিত রয়েছে।
এমএইচ