ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চেয়ে নান্দনিক হবে 

প্রকাশিত: ১৮:১২, ১৭ মে ২০২৩

ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চেয়ে নান্দনিক হবে 

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সবুজায়ন ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে সিটি করপোরেশন গৃহীত কার্যক্রম শেষ হলে ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চেয়ে সুন্দর ও নান্দনিক হবে।
 
বুধবার (১৭ মে) ধোলাইখাল জলাধার সবুজায়ন ও নান্দনিক পরিবেশ উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তাপস বলেন, ‘ধোলাইখাল জলাধার এই এলাকার, পুরান ঢাকার একটি ফুসফুস। পুরাতন ঢাকার একটি আকাঙক্ষার জায়গা। এই এলাকার জনগণের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাশা পূরণে ১৭ মে ঐতিহাসিক দিনে আমরা এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা করতে পেরেছি। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই জলাধার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের শুভসূচনা করতে পারায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ইনশাল্লাহ আগামী এক বছরের মধ্যেই এই নোংরা দৃশ্যপট, ভাগাড়ের দৃশ্যপট পরিবর্তিত হয়ে হাতিরঝিলের চাইতেও সুন্দর, সবুজ ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।’

ধোলাইখাল জলাধার উন্নয়ন কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘এখানে যেমনি সুপ্রশস্ত হাঁটার পথ থাকবে তেমনি অত্র এলাকার ছেলেমেয়েরা এখানে আসবে। সাইকেল চালিয়ে নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করবে। এখানে সবুজায়ন হবে, এখানে উন্মুক্ত মঞ্চ থাকবে, যেখানে আমরা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চা করব। এছাড়াও এখানে পর্যাপ্ত শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকবে। এখানে ঘাট থাকবে, মাঠ থাকবে। এখানে আমরা নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করব। শিশুদের খেলার জায়গা থাকবে। ঝর্ণা থাকবে, খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।’

ধোলাইখালের পানি দূষণমুক্ত রাখতে নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মেয়র তাপস বলেন, ‘এখানে অনেক পয়োঃসংযোগ আছে। সেগুলো আমরা সরিয়ে দেব, কোনো পয়োঃসংযোগ সরাসরি পানি দূষিত করতে না পারে, সে ব্যবস্থা আমরা করব। এখানে যে পলি বর্জ্য জমে আছে সেগুলো আমরা দীর্ঘস্থায়ীভাবে অপসারণ করব। পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে যে বৃষ্টি হয়, সেই বৃষ্টির পানিও আমরা সংরক্ষণ করব। আমাদের সামগ্রিক কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নত দেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলবোই।’

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান ইমন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম আজাদ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সারোয়ার হাসান আলো ও সংরক্ষিত আসনের নাসিমা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএস

×