ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় 

১৫ জুন ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ 

প্রকাশিত: ১৯:২০, ১৫ মে ২০২৩

১৫ জুন ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ 

ইরফান সেলিম

আগামী ১৫ জুন নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৫ মে ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন কোন সাক্ষী না আসায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করে। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী খন্দকার শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওই দিন ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন—ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন।

এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মীজানুর ও দীপু জামিনে মুক্ত আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।

২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা ও এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা দুই তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×