যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সম্প্রতি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন। সাবিনাদের অলিম্পিক বাছাইয়ে মিয়ানমার সফর বাতিলের পর ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সোহাগের ওপর বেশ চটেছিলেন। তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পাঁচ দিন পরই ফিফা থেকে বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের উপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দেশ ত্যাগের আগে ফিফার নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে কথা বলেছেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। টঙ্গীস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে আমাদের ভাবমূর্তি সংকটে ফেলেছে, এতে আমরা খুবই লজ্জিত।’
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বিভিন্ন বিষয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমের ওপর দায় চাপাতেন। সেই নেতিবাচক খবরের জন্য ফুটবল ফেডারেশনের ভাবমূর্তি সংকটের মুখে পড়ে। এই প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অবস্থান তার বিপরীত, ‘গণমাধ্যমের রিপোর্টই প্রকৃত অর্থে সত্য হলো। আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যম সব সময় সোচ্চার ছিল।’
বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসায় খানিকটা হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এই সর্বোচ্চ অভিভাবক, ‘একদিকে বাংলাদেশ সৌভাগ্যবান যে, ব্যক্তির ওপর দিয়ে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ফুটবল ফেডারেশনের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করার সুপারিশ করেছিল। তবে ফিফার বাধ্যবাধকতার কারণে এই মুহূর্তে ধীরে চলতে চায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ‘আমাদের হস্তক্ষেপের কারণে যদি আরও বড় ক্ষতি হয়, সেটা আমরা কেউই চাই না। ফিফা যদি অনুরোধ করে, তাহলে অবশ্যই অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব। তবে ফুটবলের ওপর আমরা কোনোভাবেই অযাচিত হস্তক্ষেপ করব না।’
সোহাগের ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। এই প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
এমএস