২০১২ সালে সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
বিশ্ব সুখ দিবস আজ। প্রতিবছর ২০ মার্চ পালিত হয় আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। এ বছর দিনটির প্রতিপাদ্য, মনোযোগী হোন, কৃতজ্ঞ হোন, দয়ালু হোন।
সর্বশেষ ২০২২ সালে জাতিসংঘের সুখী দেশের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১০টি সুখী দেশ হচ্ছে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন, নরওয়ে, ইসরায়েল ও নিউজিল্যান্ড। তবে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৪তম স্থানে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০১২ সালের ১২ জুলাই ২০ মার্চকে সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। দিবসটির প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ জেম এলিয়েন। আর এই প্রস্তাবটি এনেছিল দক্ষিণ এশিয়ার ভুটান। সুখ এবং ভালো থাকাকে একটি সর্বজনীন লক্ষ্য ও প্রত্যাশা নিয়েই দিবসটির উৎপত্তি।
দিনটি পালন সংক্রান্ত বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রস্তাবে বলা হয় মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য সুখে থাকা। ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য দিবসটি পালন করা হবে।
সুখের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে জন বি শিরিনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘সুখ পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত হয় না, সুখ আমাদের ভেতর থেকে উৎসারিত হয়। সুখ রংধনুর মতো নয় যে তা দেখা যাবে। সুখ আগুনের উত্তাপের মতো নয় যে তাকে অনুভব করা যাবে। আমরা নিজেরাই সুখ।’
যাদের বয়স কম এবং যারা প্রবীণ অথচ শারীরিকভাবে সুস্থ, তাঁরা নিজেদের সুখী মনে করেন। অল্প বয়সীরা না বুঝে কিন্তু প্রবীণেরা বুঝে সুখ অনুভব করেন। সবচেয়ে অসুখী ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা। নারীদের চেয়ে পুরুষেরা কম সুখী। নারীদের বেশি সুখী হওয়ার কারণ তারা অল্পে তুষ্ট।
আবার বিবাহিতরা অবিবাহিতদের চেয়ে নিজেদের সুখী মনে করে থাকে। শিক্ষা এবং সুস্থতার সঙ্গে সুখের সম্পর্ক রয়েছে। যারা যত বেশি শিক্ষিত, তারা তত বেশি সুখী আবার যাদের স্বাস্থ্য ভালো, তারাও তুলনামূলকভাবে সুখী।
এমএইচ