ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১

হজের খরচ কমাতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্যোগ নিতে বললেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:১২, ১৫ মার্চ ২০২৩

হজের খরচ কমাতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্যোগ নিতে বললেন হাইকোর্ট

হাইকোর্ট

চলতি বছরের জন্য হজের খরচ কমাতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে উদ্যোগ নিতে বলেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ খরচ কমাতে উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে বলেন। 

আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, হজের প্যাকেজ ঘোষণা করা সরকারের ডিসিশন। এ বিষয়ে আদালত আদেশ দিতে পারেন না। তখন আদালত বলেন, এর সঙ্গে জনস্বার্থ জড়িত, তাই এ বিষয়ে শুনতে বাধা নেই। পরে আদালত এই রিট আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন।

এ দিকে, হজ প্যাকেজ নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ডলারের দাম বৃদ্ধি, বিমান ভাড়া বৃদ্ধি, বাসা ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি বাড়ায় হজ প্যাকেজের মূল্য বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়। 

হজে যেতে বাংলাদেশ অংশে যে ব্যয় হয়, তার পরিমাণ আড়াই লাখ টাকা। আর সৌদি অংশের ব্যয় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। সৌদি অংশে যে ব্যয় হয় সেখানে সরকারের কিছু করার থাকে না। এটা আন্তর্জাতিকভাবেই সমন্বয় করতে হয়। বাংলাদেশ অংশে যে আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, সেখানে বিমান ভাড়া বেড়েছে, ডলারের মূল্য বেড়েছে। 

এর আগে গত ১২ মার্চ হজের প্যাকেজ মূল্য কমিয়ে পুনরায় প্যাকেজ ঘোষণা করতে রিট করা হয়। রিটে বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স ছাড়াও যেকোনো এয়ারলাইন্সের টিকিট কেটে হজে যাওয়ার সুযোগের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে ধর্ম সচিব, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। 

সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। অন্যদিকে কোরবানি ছাড়াই এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। যা আগের বছর ছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে দেড় লাখ টাকা বেড়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে গত ৯ জানুয়ারি সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী এ বছর হজ যাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। 

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×