ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

সুগন্ধা নদীতে সেতুতে না থাকায় ভোগান্তি নলছিটিবাসীর

সংবাদদাতা, নলছিটি, ঝালকাঠি

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ১১ মার্চ ২০২৩

সুগন্ধা নদীতে সেতুতে না থাকায় ভোগান্তি নলছিটিবাসীর

সুগন্ধা নদীতে খেয়াঘাট

একটি সেতুর অভাবেই ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা বাসীর ভোগান্তি সীমাহীন। নদী বিস্তৃত উপজেলা নলছিটি।১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে ঘটিত এ উপজেলায় ২ লাখ মানুষের অধিক বসবাস। 

জেলা শহরের দক্ষিণ পূর্বে সুগন্ধা নদীর ওপারেই নলছিটি উপজেলা ও ঝালকাঠি  সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের অবস্থান।  

নলছিটি উপজেলার এবং পোনাবালিয়া ইউনিয়ন বাসিন্দাদের সুগন্ধা নদীতে ট্রলারে পার হয়ে জেলা শহরে  যেতে হয় তাদের।  ব্রিটিশ আমল থেকেই নৌকা ও ট্রলার যোগেই যাতায়াত এখানকার বসবাসকারীরা । প্রতিদিন  কলেজ  খেয়াঘাট, পৌরসভা খেয়াঘাট,ষাইটপাকিয়া, দপদপিয়া,কাটপট্টি ও স্টিমার খেয়াঘাট দিয়ে অন্তত  ৮০ হাজার মানুষ ঝালকাঠি জেলা শহরে বিভিন্ন কাজের জন্য যাতায়াত করে থাকে।

শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে ও অসুস্থ রোগীদের মেডিকেলে চিকিৎসা নেয়া সহ সকল সরকারি বেসরকারি অফিসের দাপ্তরিক কাজে সুগন্ধা  নদী পার হয়েই ঝালকাঠি সদরে আসা যাওয়া করে । এ জনপথে রাত্র ৯টার পরেই অধিকাংশ ট্রলার পারাপার  বন্ধ হয়ে গেলে  ঝালকাঠি সদর থেকে চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় নলছিটি উপজেলার।  

নলছিটি বাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী  সুগন্ধা নদীতে সেতুর। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর বাংলাদেশ পার করলেও নলছিটি বাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থার হয়নি উন্নতি, নির্মিত হয়নি সুগন্ধা  সেতু। ঝালকাঠি সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সোয়াইব খান জানান আমি  নলছিটি থেকে প্রতিদিন নদী পার হয়ে স্কুলে আসতে হয়। 
অনেক সময় ঠিক মতো ট্রলার পাওয়া যায়না বৃষ্টি বন্যায় আমাদের বিভিন্ন ভোগান্তিতে পরতে হয়। নলছিটির বাসিন্দা ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন আমার জমি সংক্রান্ত   কাজে আদালত সহ বিভিন্ন দপ্তরে সুগন্ধা নদী পার হয়ে  আসতে হয় ঝালকাঠি সদরে। আর একমাত্র ট্রলারে ক্ষেয়া পার হয়ে আসা লাগে ঝালকাঠিতে এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। 

আর সুগন্ধা নদীতে সেতু নির্মিত হলে মোংলা বন্দর থেকে ঝালকাঠি-নলছিটি হয়ে সরাসরি পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা ও বরগুনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে। এতে বরিশাল পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা মহাসড়কে যানবাহন চাপ কিছুটা কমবে, সময় খরচ দুইটাই বাঁচবে । 

ঝালকাঠি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর ( এলজিইডি)  সিনিয়র সহকারী  প্রকৌশলী  রাজিউল জানান সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প (সিআইবিআরআর) প্রকল্পের মাধ্যমে সুগন্ধা নদীতে একটি সেতু নির্মার্ণের পরিকল্পনা রয়েছে এ ব্যাপারে পর্যাবেক্ষণের  কাজ চলছে। ভবিষ্যতে প্রকল্প অনুমোদন হলে সুগন্ধা নদীতে সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হবে।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী  প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, বরিশাল নলছিটি বরগুনা সড়কের ঝালকাঠি জেলার অন্তরগত  সড়কের যে  অংশটুকু রয়েছে তা আরো প্রস্থও উন্নিতকরণ প্রক্রিয়া  চলমান রয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে বরিশাল থেকে পায়রা বন্দর ও বরগুনা মহাসড়কের কিছুটা চাপ বেড়ে গেছে তবে ঝালকাঠির নলছিটি বরগুনা সড়কটি  বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

সেতুটি নির্মিত হলে উপজেলা শহরের সঙ্গে জেলার দুরত্ব কমার পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান্নোয়ন পরিবর্তন আনবে। দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। 

এসআর

×