ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পায়রা বন্দর

প্রকাশিত: ২০:১৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ২১:০২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পায়রা বন্দর

মতবিনিময় সভা

দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট পোর্ট হিসেবে নির্মিত হচ্ছে। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। তিনি বলেন, ‘পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে উঠছে পায়রা শিল্প নগরী, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রি, ডক ইয়ার্ড, বিমান বন্দর ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং এখানে সৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর কর্মসংস্থানের। ইতোমধ্যে এ বন্দরকে ঘিরে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে; তারা বিভিন্নভাবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছেন ও উপযুক্ত বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছেন। খুব শীঘ্রই পায়রা বন্দর হয়ে উঠবে দক্ষিণ এশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র ‘ইকোনোমিক হাব’। 

রোববার রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ’র ভবনে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও অংশীজনের মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় বন্দর চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বন্দরের সদস্য ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, শিপিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ইকবাল আলী শিমুল ও শিপিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মামুনুর রশিদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বন্দর ব্যবহারকারী অংশীজন। 

সভায় বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণাঞ্চল তথা সারা দেশের অর্থনীতিতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে পায়রা বন্দর বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আগামী মাসেই প্রথমবারের মতো ৪৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার কার্গো নিয়ে পায়রা বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়বে। অচীরেই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পায়রা বন্দর। পায়রা বন্দর হবে আগামীর বাংলাদেশ। নতুন বন্দর হিসেবে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও ইতোমধ্যে পায়রা বন্দর ২৯৮টি বৈদেশিক জাহাজ সফলভাবে হ্যান্ডেল করতে সক্ষম হয়েছে এবং এ থেকে সরকার প্রায় ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ডেজিং এর কাজ আগামী এপ্রিলে শেষ হবে, এর ফলে পায়রা বন্দরের চ্যানেল ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতা অর্জন করবে।

বক্তারা বলেন, পায়রা বন্দর মাত্র ৯ বছরে অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। শীঘ্রই এই বন্দরের জেটিতে ১১/১২ মি. ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে বলে আমরা আশা করছি। বন্দরে দ্রুত কাস্টমস্ হাউজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বন্দর এলাকায় সিমেন্ট ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। ডেজিং করে নাব্যতা বাড়াতে হবে। সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সভার আয়োজন ও বন্দর এলাকায় বিমান বন্দর ও কাস্টমস্ হাউস স্থাপন করা পরামর্শ দিয়েছেন সুধীজন।

×