প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পদ্মা বিধৌত হযরত শাহমুখদুম (র) এর পূণ্যভূমি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের বিশাল জনসমুদ্রে দাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মাটিতে কেউ গৃহহীন থাকবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতা এসেছে, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত নিয়ে যারা জোট করেছে, তারা বলছে- আওয়ামী লীগ পালানোর সুযোগ পাবে না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে কাজ করে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতা এসেছে, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছে।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি ২৩) বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে জেলা ওমহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়া, খালেদা জিয়া এদেশের মানুষের খাদ্যের কথা চিন্তা করে নাই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। দেশে আর বেকারত্ত থাকবে না। সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এসময় তিনি আবারো নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বিদেশে থাকায় আমরা দুইবোন বেঁচে যাই। আমি জিয়াউর রহমানের ষড়যন্ত্র রুখে শুধুমাত্র দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে আসি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউ এদেশের মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা দেয়নি। আওয়ামী লীগ আজকে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। বিএনপি বলে ক্ষমতা গেলে পালানোর সুযোগ পাবেন না। আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। পালায় আপনাদের নেতারাই। যেই নেতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে ভেগে গিয়েছিল, সেই দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত নেতা আজ বড় বড় কথা বলে। বিএনপি-জামায়াতের পাচার হওয়া ৪০ কোটি টাকা দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, রাজশাহী সারাজীবন অবহেলার ছিল। আপনারা এখানে নৌকায় ভোট দিয়েছেন। আমরা উন্নয়ন করেছি। রাজশাহীতে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন করা হয়েছে। রাজশাহীতে ৪ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। আজ যে কাজগুলো উদ্বোধন করা হলো এগুলো রাজশাহীবাসীকে আমার উপহার।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করেন। এছাড়া ত্রিশ লক্ষ শহীদকে স্মরণ করে তিনি বলেন, আমার বাবা মানুষের জীবন সুন্দর করতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্টে আমার বাবাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে একাত্তরের ঘাতকরা। আমরা দু’বোন বিদেশে ৬ বছর রিফিউজি হিসেবে থাকতে হয়েছিলো।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের যাদের বিচার শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু তাদেরকে এনে ক্ষমতায় বসায় বিএনপি। এমন সময় আমি দেশে ফিরি শুধু দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য। এই বিএনপি জামাতের ভয়ে আমি পিছু হঁটিনি। আমি বাঁধা অতিক্রম করে দেশে ফিরেছি। তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে আমার ছেলের বউয়ের বাচ্চা হবার সময় আমি বিদেশে ছিলাম। আমার নামে মার্ডার কেস দিয়েছিলো। তবুও আমি দেশে ফিরেছি। তখন আমি বলেছিলাম, আমি দেশে ফিরে এই কেস মোকাবেলা করব।
কিন্তু বিএনপি বলে আওয়ামীলীগ পালাবার পথ পাবে না। আওয়ামীলীগ কখনও দেশ ছেড়ে পালায় না। দুর্নীতি করে তারেক জিয়াই পালিয়েছিলো। আওয়ামীলীগ পালায় না কারণ এটা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে জিয়া, এরশাদ বা খালেদা কেউই দেশের জন্য কাজ করেনি। এই রাজশাহী সবসময় অবহেলিত ছিলো। ২০০১ সালের কথা চিন্তা করেন। বিএনপি জামাত জোট শুধু খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, লুটপাট করতো। নৌকায় ভোট দেয়ার কারণে একটি মেয়েকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে। আপনাদের কিসের এত রাগ? সেসময় বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন না করলে খালেদা কি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতো? তাহলে মানুষ নৌকায় ভোট দিলে আপনাদের এত রাগ কেন?
শেখ হাসিনা বলেন, এই রাজশাহীতে পদ্মার ভাঙ্গণ ঠেকাতে আমরা টিবাঁধ করেছি। ২০০৯ সাল থেকে এই ১৪ বছর থেকে ৬ হাজার ৬শ ৬৬ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি এই রাজশাহী জেলা ও মহানগরে। এবারও অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প আপনাদের উপহার দিয়ে গেলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার মানুষের জন্য কাজ করে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি হলেও আমরা থেমে থাকিনি। সাধারণ মানুষের যেন কষ্ট না হয় বেশি টাকায় বিদেশ থেকে খাদ্য কিনে মানুষের হাতে কম টাকায় পৌঁছে দিয়েছি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আর বিএনপি শুধু অগ্নী-সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করে। আপনারাই চিন্তা করেন, বিএনপি-জামায়াত কীভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আর তারা সেই ডিজিটাল প্লাটফরমে মানুষকে উষ্কানি দেয়। তারা শুধু মানুষকে হত্যা করতে পারে। তারা মানুষের উন্নতি সহ্য করতে পারে না।
সরকার প্রধান বলেন, আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। সামনে আরও উন্নত করবো। তাই নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখুন। নৌকায় ভোট দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানানো হয়। আমি আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি এমন একটি দেশে ফিরে আসি, যেখানে আমার কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। জাতির পিতার খুনিদেরকে ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। সে অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তারপর চেষ্টা করেছি, বাংলাদেশকে উন্নত করতে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউ এদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেয়নি। চিন্তাও করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে।
তিনি আরো বলেন, এই রাজশাহীতে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর কলকারখানা করে দেন। এরপর সব বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ বন্ধ কারখানা চালু করতে কাজ করে। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ বাঁধ করে দিয়ে সেই ভাঙন আমরা রোধ করে দেই। এই রাজশাহীর মানুষের কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা নেই। এরইমধ্যে রাজশাহীর মানুষের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।
এর আগে সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন পদ্মানদীর সব ঢেউ আজ রাজশাহী শহরে চলে এসেছে, যাকে বলে জনতার ঢল। মঞ্চ আলোকিত করে বসে আছেন, যার জন্য আপনারা সকাল থেকে হাজার হাজার নরনারী মিছিলের নগরীতে পরিণত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমাদের আশা, আমাদের স্বপ্নের বাতিঘর জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে। আজকে জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এই মাঠে যত জন আছেন, বাইরে তার দশ গুণ অপেক্ষা করে আছেন প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনার জন্য।
তিনি বলেন, মনে আছে কিছু দিন আগে বিএনপি এখানে সমাবেশ করেছে। সেই সমাবেশে বিএনপি লাল কার্ড দেখায় ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ঘটাবে বলে, ৩০ ডিসেম্বর সরকার চলে যায়, ১১ জানুয়ারি নতুন সরকার আছে। বিএনপি এখন পদযাত্রা করে। পদযাত্রা মানে শেষযাত্রা, অন্তিম যাত্রা, মরণ যাত্রা। তাদের এখন মরণযাত্রা হচ্ছে। তারা এখন সরকারকে পালাতে বলে, পালাবার পথ নাকি খুঁজে পাবেনা।
ফখরুল সাহেব, পালিয়ে তো আছেন আপনারা। তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে ৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী লন্ডনে পালিয়ে আছে।
আগরতলা ষড়যন্ত্রের সময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এই দেশেতে জন্ম আমার এই দেশেতে মরি। আমরা পালাবো না। আমরা দরকার পড়লে ফখরুল সাহেবের বাড়িতে উঠবো। তার ঠাকুরগাঁয়ের বাড়িতে উঠবো। অন্তরের জ্বালা। পদ্মাসেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জ্বালা, টানেলের জ্বালা। জ্বালা রে জ্বালা। উন্নয়নের জ্বালা। রাজশাহী ক্লিন সিটিতে পরিণত হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই শহরকে নবরূপে সজ্জিত করেছে মেয়র ও নেতৃবৃন্দ।
সামনে আরও জ্বালা আছে। এবার মেট্রোরেল পাতাল রেলে। এবার জ্বালা রূপপুরের জ্বালা। মাতারবাড়ির আরেক জ্বালা, শতভাগ বিদ্যুতের জ্বালা। জ্বালা রে জ্বালা। জ্বালায় মরে ফখরুল আর বিএনপি। খেলা হবে। খেলা হবার আগেই তো পালানো শুরু হয়েছে। মরণ যাত্রা শুরু হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে, হত্যাষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা। আবারও পরাজয়ের মুখ দর্শন করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নারীদের আজ শেখ হাসিনা সম্মান দিয়েছে। টাকাপয়সা কিছু নয়। শেখ হাসিনা বলেছেন, ৯ মাস সন্তান ধারণ করেছে মা।
এখন কেন বাবার নামে সন্তানের পরিচয় হবে। শেখ হাসিনা এই সম্মান দিয়েছে। এখন উপবৃত্তির টাকা মায়ের কাছে যায়। যে শিক্ষার্থীদের মোবাইল কেনার টাকা নাই, তাদের শেখ হাসিনা মোবাইল কিনে দিয়েছে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন প্রমুখ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারার সঞ্চালণায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
এসময় বক্তব্য দেন, বাংলাশে আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, শেখ হেলাল উদ্দিন, তথ্য ও প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ মো. স্বপন, রাজশাহী ৫ আসনের এমপি ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী ৬ আসনের এমপি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী ৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দীন, রাজশাহী ৪ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ইকবাল প্রমূখ। এছাড়া সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, এমপি ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
সভামঞ্চে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই প্রায় এক হাজার ৩১৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং প্রায় ৩৭৬ কোটি ২৮ হাজার টাকা ব্যয়ে আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি নির্মাণ প্রকল্প, শেখ রাসেল শিশু পার্ক নির্মাণ প্রকল্প, মোহনপুর রেলক্রসিংয়ের ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প, ভদ্রা রেল ক্রসিং থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চার লেন সড়ক ও ডিভাইডার নির্মাণ প্রকল্প, বন্ধ গেট থেকে সিটি হাট পর্যন্ত চার লেন সড়ক ও ডিভাইডার নির্মাণ প্রকল্প।
আরও রয়েছে- রাজশাহী হাইটেক পার্ক থেকে কোর্ট শহরতলি ক্লাব পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, রাজশাহী কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্থকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, পুঠিয়া-বাগমারা মহাসড়ক (জেড-৬০০৪) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ষষ্ঠ তলা থেকে ১০ তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্প, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের হেডকোয়ার্টার্স নির্মাণ প্রকল্প ও রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প।
আরও আছে- ৪০ উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলায় একটি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, রাজশাহী সরকারি শিশু হাসপাতালের নির্মাণ প্রকল্প, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ৬৪ জেলায় জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, পরিচালন বাজেটের আওতায় সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও পুনর্বাসন খাত প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ, বোয়ালিয়ায় ছয়তলা ভিত্তি বিশিষ্ট দ্বিতল ছাত্রীনিবাস নির্মাণ প্রকল্প।
এ ছাড়া রয়েছে- ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন প্রকল্পের আওতায় চারঘাট টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে পাঁচতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ প্রকল্প ও রাজশাহীর নতুন সিভিল সার্জন অফিস ভবন প্রকল্প।
রাজশাহী জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর বাঁ তীরের স্থাপনাসমূহ নদীভাঙন থেকে রক্ষার্থে নদীতীর রক্ষা প্রকল্প, রাজশাহী জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় ভূমি পুনরুদ্ধার ও নদীর নাব্য বৃদ্ধির জন্য পদ্মা নদী ড্রেজিং প্রকল্প, রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট, তানোর উপজেলাধীন তানোর- আমনুরা ভায়া মুন্ডুমালা হাট চেইনেজ ও পবা উপজেলাধীন মল্লিকপুর বাইপাস (কুখন্ডি বাজার) আরএইচডি-রামচন্দ্রপুর জিসি আরএইচডি চেইনেজ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প, বাগমারায় ভবানীগঞ্জ-আহসানগঞ্জ (বাগমারা অংশ) চেইনেজ ও ভবানীগঞ্জ-কেশরহাট (বাগমারা অংশ) চেইনেজ এবং ভবানীগঞ্জ - (মাথাভাঙা) হাটগাঙ্গোপাড়া চেইনেজ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, রাজশাহীর চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি ৪) আওতায় পিটিআইয়ের তিন তলা বহুমুখী অডিটোরিয়াম নির্মাণ প্রকল্প, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ও নির্মাণ প্রকল্প রাজশাহী সদর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী তথ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণকাজ, রাজশাহী আঞ্চলিক পিএসসি অফিস ভবন নির্মাণকাজ ও নয়টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ছোট বনগ্রাম মৌজা সরকারি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের (শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) ১০ তলা একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন নির্মাণকাজ।
এ ছাড়া নয়টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় বড় বনগ্রাম মৌজা সরকারি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের (শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বালক উচ্চ বিদ্যালয়) ১০তলা একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজ, রাজশাহী বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ এবং রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণকাজ।
এমএস