ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

কি ঘটেছিল ২৪ জানুয়ারি

’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান

কাওসার রহমান

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩

’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান

শহীদ মতিউর রহমান

বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনকে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০ জানুয়ারি ছাত্রনেতা আসাদের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে গণআন্দোলনের সূচনা হয়, তার তিনদিন পর ২৪ জানুয়ারি পুলিশ গুলি করে মতিউর, মকবুল, রুস্তম ও আলমগীর- এই চারজনকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ রাজপথে নেমে আসে। বিশেষ করে মৃত্যুর আগে মাকে লেখা নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউরের হৃদয়বিদারক চিঠি আন্দোলনমুখী মানুষকে আরও ক্রুদ্ধ করে তোলে।

এ ঘটনায় ছাত্র-জনতা আরও রুদ্ররোষে ফেটে পড়ে। আগরতলা মামলার সাক্ষী, তৎকালীন মন্ত্রী, এমনকি বিচারপতির বাড়িতেও মানুষ আগুন ধরিয়ে দেয়। ফলে ঢাকার পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আসাদের মৃত্যুর শোক কর্মসূচিতে এই চার মৃত্যু তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলন রূপ নেয় তীব্র এক গণঅভ্যুত্থানে। 
এই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পান শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৪ রাজবন্দি। পতন ঘটে বেসিক ডেমোক্রেসির কর্ণধার স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের। পাকিস্তানে সামরিক শাসনে ঘটে পালাবদল। ‘লৌহমানব’ খ্যাত প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হন্তান্তর করেন।
তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ঊনসত্তরের এই গণঅভ্যুত্থান এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তী সময় ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি মহান স্বাধীনতা অর্জন করে। সেই থেকে ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এই দিবসটি পালন করা হয়।
গণআন্দোলনের প্রথম শহীদ আসাদের মৃত্যুর প্রতিবাদে সে সময় দেশব্যাপী শোক কর্মসূচি চলছিল। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ২২ জানুয়ারি শোক মিছিল, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন; ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মশাল মিছিল, পরে কালো পতাকাসহ শোক মিছিল এবং ২৪ জানুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল।  
বিক্ষুব্ধ শোকার্ত জনতা প্রতিটি কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করে। ২২ জানুয়ারি এমন কোনো বাড়ি নেই যেখানে কালো পতাকা ওঠেনি। ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর শহরের সমস্ত অলিগলি থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বের হয় একটির পর একটি মশাল মিছিল। সমগ্র ঢাকা পরিণত হয় মশালের নগরীতে। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ২৪ জানুয়ারি আজাদ পত্রিকায় এই কর্মসূচির শিরোনাম হয় ‘স্মরণকালের বৃহত্তম মশাল মিছিল’।
২৪ জানুয়ারি তিনদিনের কর্মসূচির শেষদিনে সর্বাত্মক পালিত হয় অর্ধদিবস হরতাল। হরতাল শেষে পল্টনে লাখ লাখ লোক জমায়েত হয়। সকলের মুখে একই প্রশ্ন, ‘শেখ মুজিব কবে মুক্তি পাবে?’ ‘কবে আগরতলা মামলা তুলে নেওয়া হবে?’ ‘যদি সরকার না মানে তাহলে?’ ‘এমন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে যেন ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাঁকে মুক্ত করে নিয়ে আসা যায়। ‘এখনই আমাদের তুমুল সংগ্রাম শুরু করা উচিত যেন আইয়ুবের পতন ঘটে।’ ‘আইয়ুব-মোনায়েমের পতন না হলে শেখ মুজিব মুক্তি পাবে না।’ ঢাকা শহরের সর্বত্র এ ধরনের আলোচনাই চলছিল। 
হরতালের পরও মিছিলের বিরাম নেই। যেখানেই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দিচ্ছিল সেখানেই খ- যুদ্ধ বেধে যাচ্ছে। জনগণ এতটাই সাহসী হয়ে উঠেছে যে, পুলিশ-ইপিআর-এর গুলির ভয় কেটে গেছে। 
সমগ্র বাংলাদেশ সংগ্রামের বিস্ফোরণে প্রকম্পিত, অগ্নিগর্ভ। জনরোষ নিয়ন্ত্রণ করে গণআন্দোলন এগিয়ে নেওয়াই কঠিন হয়ে পড়ে। হরতাল চলাকালে একজন মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। কিছুক্ষণের মধ্যে ইপিআর এবং পুলিশ মরিয়া হয়ে ওঠে বিক্ষোভ দমনে। যত্রতত্র গুলি চালাতে থাকে। সে গুলিতেই নিহত হয় কিশোর মতিউর, মকবুল, রুস্তম ও আলমগীর। এতে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমানের মৃত্যু সব মৃত্যুকে ছাপিয়ে যায়। ছাত্র নেতৃবৃন্দ কিশোর মতিউরের লাশ নিয়ে পল্টনে যান।

পল্টন ময়দানে তখন পাঁচ লাখ লোকের বিশাল সমাবেশ। সে এক বিশাল গণ-অভ্যুত্থান। জনগণের মধ্যে প্রচ- আক্রোশ এবং ক্রোধ কাজ করছে। তারা তৎকালীন গভর্নর হাউজে (বর্তমান বঙ্গভবন) হামলা করতে চাইছে। কিন্তু এটা হবে হঠকারী এবং এতে বহু মানুষ প্রাণ হারাবে। এই চিন্তা করে দ্রুত শহীদ মতিউরের জানাজা আদায় করে ছাত্র নেতৃবৃন্দ তার লাশ নিয়ে মিছিল সহকারে তৎকালীন ইকবাল হলের দিকে চলে যান। তখনই খবর আসে মোনায়েম খান শহরের নিয়ন্ত্রণভার ছেড়ে দেবে সেনাবাহিনীর হাতে এবং অচিরেই কারফিউ জারি হবে। 
ছাত্র নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে পল্টন থেকে ইকবাল (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) হলে যান মতিউরের লাশ নিয়ে। তারা শৃঙ্খলার সঙ্গে ইকবাল হল মাঠে জড়ো হন। সেদিনই শহরের নিয়ন্ত্রণভার সেনাবাহিনীর ওপর ছেড়ে দেওয়া হয় এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য সান্ধ্য আইন (কারফিউ) জারি করা হয়।  
মৃত কিশোর মতিউরের রক্তমাখা পকেটে হাত দিয়ে একটি চিরকুট পাওয়া গেল। এক টুকরো কাগজে নাম-ঠিকানাসহ লেখা ছিল- ‘মা-গো, মিছিলে যাচ্ছি। যদি ফিরে না আসি মা, মনে করো তোমার ছেলে বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য, শেখ মুজিবের মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছে। ইতি- মতিউর রহমান, ১০ম শ্রেণী, নবকুমার ইনস্টিটিউট। পিতা- আজহারউদ্দীন মল্লিক, ন্যাশনাল ব্যাংক কলোনি, মতিঝিল।’ 
কারফিউর মধ্যেই ছাত্র নেতৃবৃন্দ মতিউরের লাশ নিয়ে যান ন্যাশনাল ব্যাংক কলোনিতে। সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তার বাবা জানান, নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্র কিশোর মতিউর রহমান এর আগে পল্টনে গায়েবানা জানাজাতে অংশ নিয়েছিল। এরপর তিনি সেই মতিউরকে আন্দোলন থেকে আটকে রাখতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
মতিউরদের মৃত্যুর পর গণআন্দোলন তখন রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়ে এই গণআন্দোলন।  ছাত্র-জনতার সঙ্গে যোগ দেন নানা পেশার মানুষ। মারমুখী ছাত্র-জনতাকে দমন করতে পুলিশ ও ইপিআর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। 
পরদিন সেনাবাহিনী ও ইপিআরের বেপরোয়া গুলিতে ঢাকার নাখালপাড়ায় আনোয়ারা বেগম ঘরের ভেতর বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হলে তার প্রতিক্রিয়া হয় তীব্র। ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত সার্জেন্ট জহুরুল হক বন্দি অবস্থায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে গুলিতে নিহত হন। তার মৃত্যু সংবাদে পরিস্থিতি এমন উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে যে, বিকেলে মওলানা ভাসানী লক্ষাধিক লোকের জনসভায় দুই মাসের মধ্যে ১১ দফার বাস্তবায়ন এবং সব রাজবন্দির মুক্তি দেওয়া না হলে খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন হলে ফরাসি বিপ্লবের মতো জেলখানা ভেঙে শেখ মুজিবকে ছিনিয়ে আনা হবে। সভাশেষে জনতা মন্ত্রীদের গৃহে অগ্নিসংযোগ শুরু করে। 
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা নিহত হন। প্রগতিশীল শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহার মৃত্যুতে ২০ ফেব্রুয়ারি ক্রুদ্ধ ও ভাবাবেগে আপ্লুত হাজার হাজার ছাত্র-জনতা সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে এবং মশাল মিছিল করে।
ঊনসত্তরের একুশে ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার বিরোধিতায় নতুন মাত্রা যোগ করে। এদিন শেখ মুজিবকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। গণঅভ্যুত্থানের প্রবল চাপে ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান ঘোষণা করেন, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। সেই সঙ্গে আইয়ুব সরকারের পক্ষ থেকে আগরতলা মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। একইদিন শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্ত এবং নিরাপত্তা আইনে আটক ৩৪ জন নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়। 
২৩ ফেব্রুয়ারি বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা দেয় ছাত্র-জনতা। এদিন ১০ লক্ষাধিক লোকের বিশাল জনসমুদ্রে গণসংবর্ধনা দিয়ে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল। সেই সভায় দাঁড়িয়ে জনসমুদ্রের উদ্দেশে স্বভাবসুলভ কণ্ঠে কৃতজ্ঞচিত্তে তিনি বলেছিলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, তোমরা যারা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে আমাকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছো, যদি কোনোদিন পারি নিজের রক্ত দিয়ে আমি সেই রক্তের ঋণ শোধ করে যাব।’ এ সময় তিনি জানান, তিনি পাকিস্তান সরকারের কাছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এগারো দফা দাবি তুলে ধরবেন।
শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারের মুখে টিকতে না পেরে ২৫ মার্চ পাকিস্তানের ‘লৌহমানব’ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। সারাদেশে নতুন করে জারি হয় সামরিক শাসন। এর মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের শাসনামল। 
গণঅভ্যুত্থানের ফলে প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন এবং অচিরে দেশে পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা চালু করার দাবি স্বীকৃত হয়। অন্যদিকে, আমলা, পুলিশ ও মিলিটারি সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে যে ভীতি ছিল, তা বহুলাংশে হ্রাস পায়। এ ছাড়া গ্রাম ও শহরাঞ্চলে শ্রেণি-চেতনার উন্মেষ এবং শ্রেণি-সংগ্রামের আংশিক বিকাশ সাধিত হয়। পাশাপাশি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে পূর্ববাংলার জনগণের মধ্যে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের আকাক্সক্ষা বৃদ্ধি পায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করার মতো পরিপুষ্ট হয়ে ওঠে।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং তৎকালীন গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র এবং ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ এর ভাষায়, ‘বঙ্গবন্ধু তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন, তিনি যদি ছয় দফা না দিতেন আগরতলা মামলা হতো না, এই মামলা না দিলে গণঅভ্যুত্থান হতো না, এই গণঅভ্যুত্থান না হলে তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে পারতাম না, আর তিনি মুক্তি না পেলে সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ী হতাম না। আর তিনি যদি নির্বাচনে বিজয়ী না হতেন, তাহলে আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করতে পারতাম না।’
’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক। আসাদের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের যাত্রা শুরু হয়েছিল। মতিউরদের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে সেই গণঅভ্যুত্থান পূর্ণতা লাভ করে। আর সার্জেন্ট জহুরুল হক ও ড. শামসুজ্জোহার মৃত্যুর মধ্যদিয়ে সেই গণঅভ্যুত্থানের সমাপ্তি ঘটে। এই আন্দোলন শুধু ছাত্র বা রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, একপর্যায়ে কৃষকদের মধ্যে, শ্রমিকদের মধ্যে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল বলেই তা হয়ে উঠেছিল গণঅভ্যুত্থান। তাইতো বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৬৯ সালের এই দিনটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা।

আরো পড়ুন  

×