ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

হাইকোর্ট

কুরুচিপূর্ণ স্লোগান! কমলাপুরের কুলিরাও তো এমন করে না 

প্রকাশিত: ১৮:০৩, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩

কুরুচিপূর্ণ স্লোগান! কমলাপুরের কুলিরাও তো এমন করে না 

হাইকোর্ট

আদালত চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজের বিরুদ্ধে কতিপয় আইনজীবীর অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট বলেছেন, অশ্লীল স্লোগান! কমলাপুরের কুলিরাও তো এমন করে না। এটি কোনো ভাষা?

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এসব কথা বলেন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ শারমিন নিগারের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বিচার কাজ বিঘ্নিত করার অভিযোগে ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ২১ জনের প্রতি আদালত অবমাননার স্বতঃপ্রণোদিত রুল দেন। ব্যাখ্যা জানাতে তাদের ২৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এ আদেশ অনুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ২১ জনের আজ আদালতে হাজিরের পর এ-সংক্রান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট এমন মন্তব্য করেন।
 
এর আগে ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাসে হট্টগোল, বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নজরে আসার পর হাইকোর্ট ৫ জানুয়ারি আদালত অবমাননার স্বতঃপ্রণোদিত রুল দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানভীর ভূঞাসহ তিন আইনজীবীকে তাদের ভূমিকার ব্যাখ্যা দিতে ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ ও ৮ জানুয়ারি এজলাস চলাকালে কতিপয় আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ শারমিন নিগারের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেন। এতে বিচারকাজ বিঘ্নিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিকার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর ৯ জানুয়ারি একটি চিঠি পাঠানো হয়।

আজ আদালতে ২১ জনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আবদুন নূর, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

 

 

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×