স্পা সেন্টার
গুলশানের ‘অল দ্য বেস্ট স্পা’ সেন্টার থেকে আটক নয়জনকে পাঁচশত টাকা জরিমানা অনাদায়ে পাঁচদিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সেই জরিমানার টাকা পরিশোধ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্ত হয়েছেন তারা। সিএমএম আদালতের হাজত খানার ইনচার্জ শহীদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালতে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত তাদের পাঁচশ টাকা করে অর্থদণ্ডের বিনিময়ে মুক্তির আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে এমদাদুল হক তামিম, পিযুষ কান্তি রায় ও মুশফিকুর রহমানের নাম জানা গেছে। তবে বাকি ছয় নারী আসামির নাম জানা যায়নি। এর আগে বুধবার (১১ জানুয়ারি) ডিএমপি অধ্যাদেশের ৭৪ ধারায় অপরাধ করায় তাদেরকে একই অধ্যাদেশের ১০০ ধারায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
তার আগে, বুধবার দুপুরে গুলশানের অল দ্য বেস্ট স্পা সেন্টারে অভিযান চালায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। এসময় স্পা সেন্টারের ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে ফারজানা (১৯) নামের এক তরুণী গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
একই ঘটনায় ভবন থেকে লাফিয়ে গুরুতর আহত হন অজ্ঞাত পরিচয়ের আরেক নারী। বর্তমানে ঢামেকে তার চিকিৎসা চলছে। এদিকে ডিএসসিসির অভিযানে ওই স্পা সেন্টার থেকে নারীসহ মোট নয়জনকে আটক করা হয়।
পরে স্পা সেন্টারের মালিক, ব্যবস্থাপক ও স্পা সেন্টারের ফ্ল্যাটের মালিককে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও ডিএনসিসির অভিযানে আটক ছয় নারীর বিরুদ্ধে দেহব্যবসা করার অভিযোগে ডিএমপির অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রসিকিউশন ইউনিটের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এমএস