আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা নির্বিঘ্ন করতে আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে বসেছি, কথা বলেছি। তাদের মধ্যে যে মতবিরোধ আছে, সেটা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছি। তারা আমাদের কথা দিয়েছেন, ইজতেমায় একপক্ষ অপরপক্ষকে সহযোগিতা করবেন। বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আইজিপি। এসময় উপস্থিত ছিলেন টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল আইজিপি হাবিবুর রহমান, এসবির মনিরুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, ‘তাবলীগের মুরব্বিরা কথা দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে উভয়পক্ষ আমাদেরও সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের কথা দিয়েছেন, আমি তাদের ওপর আস্থা রাখতে চাই।’
আইজিপি মামুন আরো বলেন, 'ইজতেমায় যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ১৬০ একর জায়গা ইজতেমার জন্য দিয়েছিলেন। দেশ ও বিদেশের আগত মুসল্লিরা যেন নিরাপদে ইজতেমায় অংশ নিতে পারে তার জন্যও পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইজতেমায় আগত বিদেশি নাগরিকদের জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগ এবং ইজতেমা কতৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘এয়ারপোর্ট থেকে তুরাগ পর্যন্ত প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দুই পর্বের ইজতেমার নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও আকাশ পথে হেলিকপ্টার টহল থাকবে। ওয়াচ টাওয়ারও থাকবে।’
আগামী ১৩ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠে টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলীগ জামাতের প্রথম পর্বের আলেমওলেমা গ্রুপের যোবায়ের পন্থীদের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব এজতেমা। এর চারদিন বিরতি দিয়ে ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব এজতেমার আয়োজক আদি তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি মাওলানা সাদ। করোনা কারণে গত দুই বছর বিশ্ব ইজতেমা বন্ধ ছিল। আগামী শুক্রবার থেকে ইজতেমা শুরু হলেও বুধবার সকাল থেকেই মুসল্লীরা ইজতেমা মাঠে আসা শুরু করেছেন।
এমএইচ