ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১

রোগীরা জিম্মি

স্বপ্না চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ২২:৫২, ৯ জানুয়ারি ২০২৩

রোগীরা জিম্মি

রাজধানীসহ দেশের সব বড় শহরে রয়েছে উন্নতমানের সরকারি হাসপাতাল

রাজধানীসহ দেশের সব বড় শহরে রয়েছে উন্নতমানের সরকারি হাসপাতাল। অত্যাধুনিক মানের অবকাঠামো নিয়ে তৈরি এসব হাসপাতালে রয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও। কিন্তু নিম্ন মানের সেবা আর কাক্সিক্ষত চিকিৎসা যথাযথ না পাওয়ায় বেশিরভাগ রোগীই সুস্থতার আশায় ভেড়েন বেসরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকদের চেম্বারে। কিন্তু তখনি বাঁধে বিপত্তি।

একই রোগে একেক হাসপাতালে একেকজন চিকিৎসক নেন ভিন্ন রকমের চিকিৎসা ফি। ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে চিকিৎসা ফি গিয়ে পৌঁছেছে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে করে নি¤œআয়ের মানুষদের চিকিৎসা পেতে খরচ হয়ে যাচ্ছে আয়ের একটা বড় অংশ। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসদের চেম্বারে রোগীদের কাছ থেকে ফি আদায়ে বার বার একটি নীতিমালা তৈরির পদক্ষেপ নেয়া হলেও অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ফলে সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতেই হচ্ছে।

রোগী ভোগান্তি চরমে ॥ রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদরোগের জন্য ডাক্তার দেখাতে এসেছেন সিলেটের এক রোগী। নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসকের নাম না জানায় হাসপাতালটির দোতলায় এক ডাক্তারকে দেখান। এর আগে একবার গ্রীন রোডের অন্য একটি হাসপাতালে একজন চিকিৎসককে দেখিয়ে ১২শ’ টাকা ফি দিলেও এই ডাক্তারকে দেখাতে দিতে হয় ১ হাজার। দুইশ’ টাকা কম পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেলেও নিম্ন মধ্যবিত্ত রাজীবের কাছে এই ১ হাজার টাকাও বাড়তি দাবি করে বলেন, বিকেলে পান্থপথের একটি হাসপাতালে আমার স্ত্রীকে গাইনির চিকিৎসক দেখালাম।

সেখানে ফি নিল ৫০০শ’ টাকা। তিনি ছিলেন একটি বড় সরকারি হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান। কিন্তু আমার এই ডাক্তার তার থেকে কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হলেও নিয়েছেন ১ হাজার টাকা ফি। এই ফি কিভাবে নির্ধারণ হয় কে জানে।
একই রকম হতবম্ব অবস্থা বিরাজ করে ফরিদপুর থেকে আসা এক রোগীর। নিউরোর রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে এসেছেন ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু এখানকার কোনো চিকিৎসকেরই ২ হাজার টাকার নিচে কোনো ফি নেই। গিয়েছিলেন এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানেই একই অবস্থা। তাই পরে বাধ্য হয়ে শ্যামলীর একটি  হাসপাতালে এসেছেন ডাক্তার দেখাতে। তিনি বলেন, নিউরোর রোগ খুবই স্পর্শকাতর। স্বজনরা পরামর্শ দিয়েছিলেন ভালো কোনো জায়গায় ডাক্তার দেখাতে। তাই গিয়েছিলাম এভারকেয়ার-ইউনাইটেডে।

কিন্তু সেখানে ফির পরিমাণই এত বেশি যে আর ডাক্তার দেখানোর সাহস পেলাম না। এখানে এসেছি নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসককে দেখাব। তার ফিও ১ হাজার টাকা। কিন্তু কি আর করা সুস্থ তো হতে হবে। চেম্বারে না এসে হাসপাতালে গেলেন না কেন ডাক্তার দেখাতে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হাসপাতালের যে পরিবেশ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ডাক্তার দেখানো যায় না। আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলে তো বেসরকারি হাসপাতালেই আসতে হবে। তাই আগেই এলাম।
রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেম্বারের চিত্র ॥ শুধু ল্যাবএইড বা এভারকেয়ার-ইউনাইটেড হাসপাতালই নয় সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ, বিআরবি হাসপাতাল, নিউ লাইফ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকের ফি ২ হাজার টাকার বেশি।

তবে এসব হাসপাতালে বেশিরভাগেরই ফি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। ১ হাজার টাকা থাকলেও তা খুব কম। এ ছাড়া ছোট, মাঝারি মানের ক্লিনিকেও একই ধরনের ফি নিতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, এসব হাসপাতালের অধ্যাপকের চেয়ে কোনো কোনো সহকারী কিংবা সহযোগী অধ্যাপকের ফি অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বীকারোক্তি ॥ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিষয়ে কিছুটা সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও। অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের রোগীরা কেন বেসরকারি হাসপাতালের চেম্বারে ডাক্তার দেখাতে যান তার সুনির্দিষ্ট কয়েকটি কারণ রয়েছে। আমাদের চিকিৎসকদের অনেকেই সরকারি হাসপাতালে রোগী দেখার সময় এতটা মনোযোগী হন না যতটা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হন।

তাই রোগীরা সরকারি হাসপাতালে এসে একই চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালের চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসা নিতে স্বচ্ছন্দ অনুভব করেন। একইভাবে আমাদের হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি রোগীর তুলনায় অপ্রতুল। আর পরিবেশও ততটা ভালো নয়। তাই একটু সিকিউরিটি আর ভালো পরিবেশের আশায় অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই চিকিৎসা নিতে যান। কিন্তু এই সুযোগ চিকিৎসকরা যে যার মতো ফি আদায় করলেও আসলে এতে নির্দিষ্ট করে কোনো নীতিমালা প্রণয়ন করা যাবে কি না তা আসলে বলা যাচ্ছে না।

কারণ, যদি চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবা ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয় তা হলে অন্যান্য পেশাজীবী যেমন আইনজীবী, শিক্ষক, প্রকৌশলী তাদের সবারই ব্যক্তিগত অনুশীলনের ফি নির্ধারিত করে দিতে হবে। না হলে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে তা মোকাবিলা করা মুশকিল।
বেড়েছে রোগীর পকেট ব্যয় ॥ পরিবর্তিত বিশ্বে দেশের মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বেড়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট। গত বুধবার এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০২০ সালে দেশের মানুষের চিকিৎসা খাতে ব্যক্তিগত ব্যয় বা ‘আউট অব পকেট এক্সপেনসেস (ওওপি)’ আরও বেড়েছে। এ অতিরিক্ত ব্যয় ২০১৫ সালে ছিল ৬৭ শতাংশ। যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ শতাংশে।

২০২০ সালে দেশে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৮ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে ব্যক্তির নিজ খরচে। স্বাস্থ্য ব্যয়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট ব্যক্তি পর্যায়ে খরচের ৫৪ শতাংশই খরচ করে থাকেন দেশের শীর্ষ ধনীরা। অন্যদিকে দরিদ্র শ্রেণির জনগণের নি¤œ দুই ভাগ মোট নিজ খরচের যথাক্রমে ৪ শতাংশ এবং ৮ শতাংশ খরচ করে থাকেন।
আর এই খরচের বড় অংশ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারের ফি হিসেবে যাচ্ছে বলে দাবি করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ফি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে মানুষের মধ্যে একটা স্বস্তি ফিরে আসবে। কিন্তু অভিযোগ আছে, চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের বিরোধিতার কারণে আটকে আছে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস ফি নির্ধারণ নীতিমালা। 
নীতিমালা হয়েও হয় না ॥ জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসকদের ‘ফি’ নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। সেই লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু সেই কমিটি গঠনের পর থেকে কয়েকটি সভা করা ছাড়া নীতিমালা প্রণয়ন তো দূরের কথা আর কোনো অগ্রগতিই হয়নি। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, পেশাজীবী চিকিৎসক নেতাদের আপত্তির কারণে নীতিমালা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল জনকণ্ঠকে বলেন, কোনো একটা খাতে স্বেচ্ছাচারিতা যেমন কাম্য নয় তেমনি শুধু চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণ করে দেওয়াও কাম্য নয়। পৃথিবীর কোথাও সরকার চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণ করে দেয় না। এ ছাড়া দেশে অন্য কোনো পেশায় কারও ফি যখন নির্ধারিত হয়নি সেক্ষেত্রে শুধু চিকিৎসকদের ফি কেন নির্ধারণ করা হবে।
জানা যায়, মূলত ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেসন্স) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’-এর ৪ ধারায় সরকারি চাকরিজীবী চিকিৎসকদের কর্মঘণ্টার বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ রাখা হয়েছে। এই অর্ডিন্যান্সের অপব্যবহার করে বেশ কিছু চিকিৎসক অতিরিক্ত ফি নিচ্ছেন। যদিও ১৯৮২-এর ৪-এর এই ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, অসাংবিধানিক, বেআইনি এবং বাতিল ঘোষণা করা হবে না- এ ব্যাপারে ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেন।

এতে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে আদালতের আদেশও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে তাদের। এ ছাড়াও চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা’ তৈরির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে নির্দেশনা ছিল হাইকোর্টের।

এরপর ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণ করে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, চিকিৎসকদের জন্য রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া ফির পরিমাণ নির্ধারণের একটি পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সেই ফি নির্ধারণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন, প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলসহ (বিএমডিসি) সব স্টেকহোল্ডারকে কমিটিতে রাখা হয়। কিন্তু এসবই কাগজে-কলমে হিসেবেই রয়ে গেছে। ফলে ইচ্ছামতো ফি আদায়ের কাছে রোগীরা জিম্মি হয়ে আছে। 
স্বাস্থ্য বিমার তাগিদ ॥ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমিত আয়ের লোকজন চিকিৎসার জন্য নিজেরা আলাদা করে কোনো টাকা বরাদ্দ রাখে না। ফলে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হয় বা দৈন্যদশায় পড়তে হয়। অথচ এ অবস্থায় পড়তে হতো না যদি তাদের স্বাস্থ্য বিমা থাকত বা সরকারিভাবে তাদের স্বাস্থ্য বিমার আওতায় রাখা যেত।

আর এটি থাকলে এ রকম চিকিৎসকরাও রোগীদের জিম্মি করার সুযোগ পেত উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক. ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করতে হলে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের কোনো মানুষ যেন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী চিকিৎসা করাতে গিয়ে যেন আরও দরিদ্র বা নিঃস্ব না হয়ে পড়ে, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য বিমা কার্যকর করা জরুরি।

স্বাস্থ্য বিমা করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে ব্যক্তির চিকিৎসা খরচ মেটানো। আর এটি বেশি জরুরি যখন বেসরকারি খাতে চিকিৎসা ব্যয় বেশি হয়। আমরা দেখেছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা মূলত বেসরকারি স্বাস্থ্য বিমার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা অধিকাংশ আমেরিকানের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির মূল উৎস। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) একটি সরকারিভাবে পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, যেখানে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী সবাই স্বাভাবিকভাবেই এ স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন। আমাদেরও এ রকম একটি ব্যবস্থা থাকলে সাধারণ রোগীদের কারও কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে হতো না।

×