ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

মামলা তুলে নিতে বাদীকে অনবরত হুমকি, কর্ণপাত করছে না ওসি

প্রকাশিত: ১৯:৪৪, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

মামলা তুলে নিতে বাদীকে অনবরত হুমকি, কর্ণপাত করছে না ওসি

সংবাদ সম্মেলন

গত ১০ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার বাঘড়া গ্রামের সূর্য মিয়ার স্ত্রী জুলেখা বেগমের ঘরে স্থানীয় ডাকাত সর্দার ছালাম ওরফে কেটু ছালাম তার দলবল নিয়ে ডাকাতি করে। এ ঘটনায় জুলেখা বেগম থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ডাকাত সর্দার ছালাম পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরঘুর করলেও তাকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। উল্টো মামলা তুলে নিতে বাদী জুলেখা বেগমকে অনবরত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ডাকাত ছালাম। বিষয়টি শ্রীনগর থানার ওসিকে অবহিত করলেও তিনি কোন কর্ণপাত করছেন না। 
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্রাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী জুলেখা বেগম। 

সংবাদ সম্মেলনে জুলেখা বেগম বলেন, ঘটনার দিন মেয়েকে নিয়ে পাশের বাড়ির অসুস্থ নাতনিকে দেখতে যান তিনি। এই সুযোগে স্থানীয় ডাকাত সর্দার ছালাম কয়েকজন সদস্য নিয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে দরজা ভেঙ্গে টাকা, মালামাল ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। এরপর পুনরায় আরো মালামাল লুট করতে ঘরে ঢোকে। এ সময় পাশের বাড়ির লোক বিষয়টি বুঝতে পারলে তারা দৌঁড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাদের পেছনে ধাওয়া করলে ছালাম ধারালো দা দিয়ে তার ভাতিজি লিমার মাথায় আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় হাসপাতাল, রাজধানীর মিটফোর্ড ও ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা করানো হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা করতে গেলে প্রথমে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম মামলা গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। পরে ছালাম, সবুজ, সজীব, সোহাগ ও বিজয়ের বিরুদ্ধে মামলা নেয় ওসি। কিন্তু মামলা নিলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করছেনা।

অপরদিকে সন্ত্রাসী ছালাম ছালাম প্রভাব খানিয়ে প্রতিবেশী স্বাক্ষীদের কাছ থেকে জোরপূর্ব সাদাকাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। এরপর প্রতিবেশীদের দিয়ে আমাদের নামে থানার ওসির সহযোগিতায় জিডি করিয়েছে। আর সন্ত্রাসীরা আমাদের নামে মিথ্যা মামলাসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। ছালামের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, জুয়ার বোর্ড চালানো, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর ডান্ডাবেরী পড়া অবস্থায় জেলহাজতে আটক ছিল।

এ বিষয়ে জানতে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি তেমন একটা অবগত নয়। খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। 

 

ফজলু

সম্পর্কিত বিষয়:

×