সংবাদ সম্মেলনে বক্তা
দুর্নীতির অভিযোগে পল্লী দারিদ্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মওদুদউর রশিদ সফদারের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রোববর (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান প্রতিষ্ঠানের নির্যাতিত ও চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের অর্থ কর্মকর্তা সোহাদা নাসরিন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি বিগত দুই দশকে দেশের দুই তৃতীয়াশেরও বেশি এলাকায় প্রায় ১৩ লক্ষ সুফলভোগী পরিবারের গ্রুপ সরের মাধ্যমে পুঁজি গঠন, ক্ষুদ্র ও উদ্দ্যোক্তা পর্যায়ে ঋণ পরিসেবা, কারিগরীসহ নানা সেবা প্রদান করে ২০২০ সাল পযন্ত শতভাগ আর্থিক সফলতা অর্জন করে।
কিন্তু ২০২০ সালে আইন অমান্য করে গেজেট আকারে প্রকাশের আগেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে মউদুদউর রশীদ সফদারকে পিডিএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
যেখানে এমডি পদে আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স হওয়ার কতা ৬০ বছর। সেখানে মাউদুদউর রহমানের ৬২ বছর বয়স নিয়ে এমডি হিসাবে নিয়োগ পান। তার এই অবৈধভাবে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করা হয়।
এরপর হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং-১৪২০৬ /২০২২। আদলত রুল সংশ্লষ্টদের জবাব দিতে আদেশ দেন। এমডির চাকরির বৈধতা এখন একটি বিচারাধীন বিষয়। রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই পদে থাক বেআইনী।
তারপরও গত দুই বছরে ধরে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মী ও সাড়ে ১১ লক্ষ সুফলভোগী পরিবার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে দুটি শ্বেতপত্র এবং একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। দুর্নীতির বিরোধীতা করায় অন্যায় ভাবে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। অনেককে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তারা বলেন, এভাবে চলতে থাকলে এই প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তাই এখনই সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্তুমুলক বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করা করেন তারা।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মশিউর রহমান, তানভিন আহমেদ প্রমুখ।
এমএম