প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত বড়-বড় পাইপলাইন করা হয়েছে। এই পাইপলাইনগুলোর মাধ্যে কম সময়ে তেল সরবরাহ করা যাবে। ইতোমধ্যে পাইপলাইনের কাজন ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালী থেকে পতেঙ্গা এবং পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ডিপোতে সরাসরি তেল আসবে।
বুধবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এসও এলাকায় মেঘনা ডিপো পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে আগে তেল বড় জাহাজের মাধ্যমে আনা হতো। এরপর ছোট জাহাজের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। এভাবে জাহাজে তেল আসতে ১২-১৪ দিন সময় লেগে যেতো। পাইপলাইনের মাধ্যমে খুব কম সময়ে এখন তেল সরবরাহ করা যাবে।
পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহে কোনও ঝুঁকি নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশে এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই তেল সরবরাহ করা হয়। বিমানে বর্তমানে গাড়ির মাধ্যমে তেল সরবরাহ করা হয়, এটাও আমরা পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহের পরিকল্পনা করেছি। এটি করতে পারলে ঢাকার ট্রাফিকের ওপর চাপ কমবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহের কারণে সময় এবং খরচ দুটোই বাঁচবে।’
এরপর ফতুল্লার পঞ্চবটি মেঘনা ডিপো পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। পরে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, গোদনাইল মেঘনা ডিপো ইনচার্জ লতিফুর রহমান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান।
স্বপ্না