সংঘর্ষের সময় ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম মকবুল হোসেন (৩৫)। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
নিহতের বড় ভাই আব্দুর রহমান জানান, তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার উদিমেরচর গ্রামে। তার বাবা মৃত আ. সামাদ। বর্তমানে মিরপুর ১১ নম্বর সেক্টরের লালমাটিয়া এ ব্লকের ১২ নম্বর লেনে নিজেদের বাড়ি থাকতেন। তার স্ত্রী হালিমা খাতুন। তার ৭ বছরের একমাত্র মেয়ে মিথিলা আক্তার স্থানীয় মাদ্রাসার ২য় শ্রেণিতে পড়াশুনা করে।
বোন আয়শা আক্তার জানান, সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে নাস্তা না করেই বের হয় মকবুল। তখন বলেন, কারচুপির মালামাল কিনতে যাচ্ছেন। এরপর সন্ধ্যার দিকে টিভিতে খবরের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর শুনতে পান। পরবর্তিতে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তার মরদেহ দেখতে পান।
স্বজনদের দাবি, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন মকবুল। কে তাকে নয়াপল্টন নিয়ে গেছে তা কেউ জানেন না।
ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, এই ঘটনায় মোট ২১ জন চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্য সহ ৩জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা শেষে চলে গেছেন। একটি মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, পল্টনের ঘটনায় মতিঝিল থানার পুলিশ কনস্টবল মাহফুজ (৩৮) আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার মাথায় ও চোখে আঘাত রয়েছে। বাকিরা খুব একটা আশঙ্কাজনক নয়।
এমএইচ