উপ-সচিব এ কে এম রেজাউল করিম রতন
অসদাচরণের অভিযোগে বাধ্যতামূলক উপ-সচিব এ কে এম রেজাউল করিম রতনকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরি শুরু করেছিলেন।
রেজাউল করিম ধর্ষণ মামলার অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। পরে বিভাগীয় মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি হারালেন তিনি। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন।
জানা যায়, রেজাউল করিম গ্রন্থকেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে সাময়িক বরখাস্ত হন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছিল। সাময়িক বরখাস্ত থাকার সময়টিকে বিশেষ ছুটি হিসেবে বিবেচনা করেছে সরকার। এরপর ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে হাজারীবাগ থানা পুলিশ।
জানা যায়, রেজাউল করিম রতন ২০১৭ সালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের ওই ছাত্রীকে প্রায় এক বছর ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি মামলা করা হয়। পরে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দিলে রতনকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও জানা যায়, ঘটনার সময় রেজাউল করিম রতন মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর তিনি উপ সচিব হয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
সূত্র জানায়, রেজাউল করিমের নামে আনা অভিযোগের বিষয়ে তাকে ব্যক্তিগত শুনানি এবং লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পরে অভিযুক্তের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে সরকারি চাকরি হতে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের সুপারিশ করেন। এরপর এ বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত চাওয়া হলে তারাও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে। চূড়ান্তভাবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে গেলে রাষ্ট্রপতি রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দেওয়া শাস্তি অনুমোদন করেন।
এমএইচ