ই-টিকিট
রাজধানীতে ই-টিকিট সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীরা নির্ধারিত ভাড়া দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় স্বস্তি পেলেও বাস স্টাফদের আছে চাপা কষ্ট। তাদের দাবি, ই-টিকিট চালু হওয়ার পর থেকে আয় কমেছে। তবুও ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে ঝগড়া বন্ধ হওয়ায় তারা খুশি।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সদরঘাট-মিরপুর রুটে চলা বিহঙ্গ পরিবহনের কন্ডাক্টর বলেন, 'ই-টিকিট সুন্দর সিস্টেম। ঝগড়া নেই যাত্রীদের সঙ্গে। যে পর্যন্ত যায়, সেই পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে টিকিট নিয়ে বসে থাকে৷ মালিকরাও আগের মতো দিনশেষে টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলা করে না।' তবে আগের চেয়ে আয় কমেছে বলে দাবি করেন এই পরিবহন শ্রমিক।
গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও বাস শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা নিত্যদিনের ঘটনা। সামান্য ভাড়া নিয়ে সংঘর্ষ, এমনকি যাত্রীদের বাস থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। এমন অবস্থার মধ্যে ১০ দিন আগে মিরপুর রুটে চালু হওয়া ই-টিকিট সার্ভিসের ফলে ভাড়া নিয়ে সেই বিতণ্ডা কিছুটা হলেও কমেছে।
যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতা কমবে, ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধ হবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে রাজধানীর মিরপুর রুটের বাসে গত ১৩ নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে ই-টিকিটিং সেবা।
৩০টি কোম্পানির বাসে যাত্রীদের থেকে ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া আদায় শুরু করলেও আগামী ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর সব রুটে ই-টিকিটিং চালু করার কথা বলছেন বাস মালিকরা।
তবে নিয়ম অনুযায়ী সব যাত্রীকে টিকিট দেওয়ার কথা থাকলেও সর্বনিম্ন ভাড়া দশ টাকার টিকিট কম দিতে দেখা গেছে। আবার যাত্রীরা না চাইলেও কন্ডাকটরদের টিকিট না দিয়ে এড়িয়ে যেতে দেখা যায়৷
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, ই-টিকিটিং চালু হলে বন্ধ হবে যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতা। কমবে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহর দাবি, ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে কমে আসবে সড়কে পরিবহন নৈরাজ্য। বন্ধ হয়ে যাবে ওয়েবিল সিস্টেম, যাত্রী তোলা নিয়ে অসম প্রতিযোগিতাও।
তবে যাত্রীরা বলছেন, ই-টিকিট পদ্ধতি ভালো হলেও সঠিক তদারকি না হলে এর দীর্ঘমেয়াদি সুফল মিলবে না।
এমএস