যানজটে সড়কে দাঁড়িয়ে আছে গাড়ি। ছবি: জনকণ্ঠ।
রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকেই কয়েক কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে অফিসগামী, এইচএসসি পরীক্ষার্থী-সহ অন্যান্য সাধারণ মানুষ।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সকাল থেকেই সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর ১০ নম্বর গোলচত্ত্বরে কয়েকটি সিগনালের কারণে ওই জায়গার রাস্তায় যানজট রয়েছে। তবে মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত আছে দীর্ঘ যানজট। আর এই রাস্তাটি পার হতে সময় লাগছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। বিজয় সরণি মোড়ের সড়কগুলোতেও যানজট রয়েছে। এরপর ফার্মগেট থেকে কারওয়ান সিগনাল পর্যন্ত আছে আরও একটি যানজট, যেখানে ১৫ মিনিট পর পর ধীরগতিতে ঘুরছে গাড়ির চাকা। শাহবাগ ও পল্টনেও আছে তীব্র যানজট। এছাড়া রাজধানীর মহাখালী, বনানী, মগবাজার, নীলক্ষেত এলাকাতেও একই অবস্থা দেখা গেছে।
এদিকে, এই যানজটের নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। সড়কে গণপরিবহন বাসের সংখ্যা খুবই কম দেখা দেখা গেছে। বেশির ভাগই রয়েছে প্রাইভেটকার, সিএনজি ও রিকসা।
অফিসে যাওয়ার জন্য মিরপুরে সাড়ে ১১ নম্বর থেকে উঠেছেন সাবিনা লাইজু। তিনি জানান, কারওয়ান বাজার মোড় পর্যন্ত আসতে তার সময় লেগেছে দুই ঘণ্টা ৪০ মিনিট। কি কারণে এত যানজট সে বিষয়ে তিনি কিছু জানতে পারেননি।
শাহাদাত হোসাইন নামের আর একজন জানান, উত্তরা থেকে বাসে উঠেছি মৌচাক যাওয়ার জন্য। রাস্তায় অনেক জ্যাম পেয়েছেন। মৌচাক আসতে তার সময় লেগেছে আড়াই ঘণ্টা। তবে এই যানজটের জন্য তিনি রাস্তায় বিশেষ কোনো কারণ খুঁজে পাননি।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী সৌরভ বলেন, আজ তাদের ভূগোল পরীক্ষা। কিন্তু রাস্তায় তীব্র যানজট এবং বাসের সংখ্যাও খুবই কম। তাই দাঁড়িয়েই ফার্মগেট এসেছি। ভেবেছিলাম পরীক্ষারে কেন্দ্রে গিয়ে আর একটিু রিভিশন দিব, কিন্তু তা আজ আর সম্ভব না। মিরপুর শেওরাপাড়া থেকে আসতে সময় লেগেছে পৌনে দুই ঘণ্টা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যানজটের কারণে প্রতিবছর ঢাকাবাসীর নষ্ট হচ্ছে ৪৫ কোটি শ্রমঘণ্টা। ফলে প্রতিদিন অপচয় হচ্ছে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতিবছর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
এমএইচ