ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

যে স্প্রে ছুড়ে আদালত থেকে পালায় জঙ্গিরা

প্রকাশিত: ২০:২৪, ২০ নভেম্বর ২০২২

যে স্প্রে ছুড়ে আদালত থেকে পালায় জঙ্গিরা

এই স্প্রেটিই পুলিশের চোখে ছুড়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।

পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় চার জঙ্গি। আর এই স্প্রে ছুড়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই আসামিরা। 

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) সূত্রে জানা গেছে, আদালত থেকে গারদে নেওয়ার সময় শামীম ও সোহেল হ্যান্ড-কাফ পরিহিত ছিল। দুজন করে একই হ্যান্ড-কাফে বাধা ছিল। এ সময় পুলিশের চোখে মুখে যে দ্রব্য ছিটিয়ে দেওয়া হয়, সেটি ছিল পিপার স্প্রে।

পিপার স্প্রে এমন একটি রাসায়নিক, যা চোখের প্রদাহ ঘটায়। ফলে অশ্রু, ব্যথা এমনকি সাময়িক অন্ধত্ব ঘটতে পারে। ওসি স্প্রে (ওলিওরেসিন ক্যাপসিয়াম), ওসি গ্যাস ও ক্যাপসিয়াম স্প্রে নামেও এটি পরিচিত।

হাইকোর্টে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে পিপার স্প্রে ব্যবহারের ওপর আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের ১২ সদস্যকে আজ রবিবার (২০ নভেম্বর) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে জঙ্গি সদস্য আরাফাত, সবুর ও পালিয়ে যাওয়া শামীম ও সোহেলকে গারদে নেওয়া হচ্ছিল। হাজিরা শেষে কোর্টের চারতলা থেকে তাদের নামিয়ে আনা হয়। এ সময় আদালতের ফটকে অন্য জঙ্গি সদস্যরা অপেক্ষমাণ ছিলেন। আরাফাত, সবুর, শামীম ও সোহেল ফটকের সামনে এলে অন্যান্যরা পুলিশ সদস্য ও নিরাপত্তারক্ষীর দিকে পিপার স্প্রে ছোড়ে। ফটকের সামনে থাকা কয়েকজন সাধারণ জনগণের চোখে-মুখেও স্প্রে লাগে। এতে পুলিশ সদস্যরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লে সহযোগীরা শামীম ও সোহেলকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে, পিপার স্প্রের শিকার পুলিশের কনস্টেবল (কং/৫১৯৫) মো. নুরে আজাদকে (৩৯) প্রথমে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়।

আজ দুপুর ১২টার পর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের চোখে স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। পলাতক দুই আসামি হলেন- মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল। শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের মাধবপুর গ্রামে। সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেটোশ্বর গ্রামে। তাদের ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×