সচিবালয়
সচিবালয়ে প্রবেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করতেই এ ফি আরোপ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রবিবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, সচিবালয়ে প্রবেশে আরও স্মার্ট, আরও যুগোপযোগী ও নিরাপত্তাবিষয়ক ফিচারগুলো যেন থাকে সেজন্য অনেকের পক্ষ থেকেই এই সাজেশন আসছিল। আর সেটা করতে হলে আমাদের কিছু অর্থের প্রয়োজন। যেমন আমাদের ছবি তো থাকবেই (কার্ডে) তার সঙ্গে চোখের আইরিশ দেওয়া থাকবে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়া থাকবে।
এই সবগুলো যখন করব তখন আমাদের একটা অর্থের প্রয়োজন হয়। যারা নেবেন (কার্ড) অর্থটা তারাই দেবেন। সেজন্যই অর্থ মন্ত্রণালয়ে এটা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে গত মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এমন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রাধিকারভুক্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশ ফি আরোপ করার প্রস্তাব করেছে জননিরাপত্তা বিভাগ। এক্ষেত্রে সচিবালয়ে প্রবেশে প্রত্যেককে একটি কার্ড দেওয়া হবে। কার্ডের মেয়াদ হবে এক বছর। মূলত ফি নির্ধারণ করা হবে এক বছরের জন্য।
মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রাধিকারভুক্ত ব্যক্তিদের প্রবেশ ফি না লাগলেও অন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয়ে প্রবেশে বছরে তিন হাজার টাকা ফি দিতে হবে। জেলা-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রদের প্রবেশ ফি বছরে আড়াই হাজার টাকা, বেসরকারি ব্যক্তিদের প্রবেশ ফি বছরে পাঁচ হাজার টাকা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সচিবালয়ে বেসরকারি গাড়ি প্রবেশে বছরে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ফি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কার্ড হারিয়ে গেলে নতুন করে নিতেও লাগবে ফি। এক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের দুই হাজার টাকা এবং বেসরকারি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ফি পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এমএস